রোগা শিশুর খাওয়াদাওয়া
শিশুর স্বাস্থ্য মানেই টিভির পর্দার সেই গাবলুগুবলু শিশুর হামাগুড়ি অথবা ফেট্টি বাঁধা সেই মোটাসোটা শিশুর সর্গব ঘোষণা ‘হেল্থ ড্রিং খাই তো তাই!’ মোটাসোটা না হলেই শিশুকে রোগা মনে হয় অনেকেরই, পাড়াপড়শির অযাচিত মন্তব্যে এরকম মনে হওয়া তীব্র হতে হতে মনে গেঁথে যায় বাতিক হয়ে।
বয়স অনুপাতে শিশুর ওজন কত হওয়ার দরকার এ বিষয়ে মোটামুটি একটা ধারনা থাকলে এরকম বাতিক থেকে মুক্ত হওয়া খুব কঠিন নয়। শিশু ঠিকভাবে বাড়ছে কি না শিশুর মা বাবার পক্ষে এই বিষয়ে নজর রাখা জরুরী। আর এরকম নজর দারীর ক্ষেত্রে শিশুর ওজন সবচাইতে সহজ অথচ গরুত্বপূর্ণ একটা সূচক। এ দেশে শিশুর মোটামুটি জন্ম-ওজন ২.৫ থেকে ৩.২৫ কেজি। জন্মের পর এই ওজন দশ শতাংশ পরযন্ত কমে দশ-এগারো দিনের মাথায় আবার আগের ওজনে ফিরে আসে।
এরপর থেকে তিন মাস পরযন্ত শিশু বাড়ে গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম , তিন মাস থেকে একবছর পরযন্ত এই গড় বৃদ্ধি এসে দাঁড়ায় মাসে ৪০ গ্রামের মতো। এছাড়া ৫ মাসে জন্মের ২ গুণ, ১ বছরে জন্মের ৩ গুণ, ২ বছরে জন্মের ৪ গুণ, ৩ বছরে জন্মের ৫ গুণ, ৫ বছরে জন্মের ৬ গুণ ওজন বাড়ে। এই নিয়ম অনুসারে শিশুর ওজন না বাড়লে বুঝবেন শিশু রোগা। এসময় নিচের নিয়ম গুলো মেনে শিশুর যত্ন নিন।
রোগা শিশুর খাওয়াদাওয়া
১। অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগলে দাঁত বা হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। শাকপাতা, মাছ, দুধ ও নানা ফল খাওয়ালে ক্যালসিয়ামের অভাব মিটবে।
২। ভিটামিন সি-র অভাবে মাড়ির যে সমস্যা হয় তা সহজেই সারানো যায়, যে কোনও লেবু, আমলিকি বা অন্য টক খাবার রোজ সামান্য খাওয়ালে।
৩। রোজ কিছুটা টাটকা শাকসবজি আর একটা মৌসুমী ফল শিশুর শরীরে বি-ভিটামিনসহ নানা ধরনের ভিটামিনের অভাব মেটায়।মেটায় অত্যাবশ্যক নানা খনিজ লবণের চাহিদা।
৪। বিশেষভাবে নজর দিতে হবে ।ভিটামিন এ-র ব্যাপারে। ভিটামিন এ-র অভাবজনিত সমস্যার কারণে ক্ষুধামান্দ্য ও ঠিকমতো বেড়ে না ওঠার শিকার।নটেশাক, পালংশাক, লাউ, বাঁধাকপি, কুমড়ো আর গাজরে পরযাপ্ত ভিটামিন-এ রয়েছে।
৫। খাওয়াদ্ওয়ার পাশাপাশি নজর দিতে হবে শিশুর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি গুলোতে। নিয়মিত দাঁত মাজা, নখ কাটা, প্রত্যেকবার খাবার খাওয়ার আগে ভালো ভাবে হাত ধোয়া, মলত্যাগের পর হাত ভালো ভাবে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। রোগা শিশুর
https://www.youtube.com/watch?v=AoO_iZhlnGs&t=4s