class="post-template-default single single-post postid-21121 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

লেখালেখিতে ফ্রিল্যান্সিং: কোন ধরনের লেখা লিখবেন?

বর্তমানে লেখালেখির মাধ্যমে অনলাইনে ভালো আয় করা সম্ভব। তবে সব ধরনের লেখায় দক্ষতা থাকা কঠিন। তাই আপনি যে ধরনের লেখা আপনি সুন্দরভাবে লিখতে পারেন, সে ধরন বা টাইপ বেছে নেয়া জরুরি। লেখালেখিতে ফ্রিল্যান্সিং করার এমন কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে এবার জেনে নিন।

আর্টিকেল ও ব্লগ

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে সাধারণত আর্টিকেল ও ব্লগ লেখার সুযোগ বেশি থাকে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নির্দিষ্ট শব্দ সংখ্যার মধ্যে আপনাকে লিখতে হবে এ ধরনের কন্টেন্ট। কিছু ক্ষেত্রে নিজের মতামত দেয়া সম্ভব, বিশেষ করে ব্লগ কন্টেটে।

যে বিষয়ের উপর লিখবেন, সে বিষয়ে আগে লেখার অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক নয়। কিন্তু লেখাকে ভালো করার জন্য আপনাকে এর উপর তথ্য সংগ্রহ করতে হতে পারে বিভিন্ন রিসোর্স থেকে।

টেকনিক্যাল লেখা

এ ধরনের লেখায় টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর লিখতে হবে আপনাকে। যেমনঃ ফটোশপে ছবি এডিট করার উপায়।

টেকনিক্যাল লেখার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকা জরুরি। এছাড়া, কঠিন ব্যাপারকে সহজে ব্যাখ্যা করার দক্ষতা দরকার হবে আপনার। পাশাপাশি নির্ভুল ও যাচাইযোগ্য তথ্য ব্যবহার করতে হবে।

অ্যাকাডেমিক লেখা

নির্ধারিত শব্দ, ভাষা ও রেফারেন্সের মাধ্যমে যুক্তি উপস্থাপন করা হয় অ্যাকাডেমিক লেখায়। পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া এ ধরনের লেখা নিয়ে কাজ করা কষ্টকর। এছাড়া, জটিল শব্দ ও বাক্যের ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে আপনাকে।

ক্রিয়েটিভ লেখা

গল্প, উপন্যাস, নাটকসহ বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল লেখা নিয়ে কাজ করার জন্য ভালো কল্পনাশক্তি ও চমৎকারভাবে আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের দক্ষতা থাকা আবশ্যক। চাইলেও এমন লেখা নিয়ে সবাই কাজ করতে পারেন না। আপনি যদি শখের বশে সাহিত্যচর্চা করে থাকেন, তাহলে ক্রিয়েটিভ লেখা আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে।

কপিরাইটিং

কপিরাইটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সার্ভিসকে আকর্ষণীয় ভাষায় সম্ভাব্য ক্রেতাদের কাছে উপস্থাপন করা। এ ধরনের লেখায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোন কিছুর প্রচারণা চালানো হয়। কথা দিয়ে অন্যদেরকে প্রভাবিত করার দক্ষতা থাকলে কপিরাইটার হিসাবে কাজ করার চেষ্টা করতে পারেন।

রেজ্যুমে ও কভার লেটার লেখা

চাকরিপ্রার্থী ও উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী যে কাউকে সিভি, রেজ্যুমে ও কভার লেটার লিখতে হয়। এ ব্যাপারে তাদেরকে সাহায্য করতে পারেন আপনি। তবে পেশাদারি ভাষা ও ফরম্যাটগুলোর পার্থক্য নিয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে আপনার।

গ্র্যান্ট রাইটিং

কোন প্রজেক্টের ফান্ডিং নিশ্চিত করার জন্য গ্র্যান্ট প্রপোজাল ও অ্যাপ্লিকেশন লেখার দরকার হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির। এ ধরনের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাইলে আপনাকে প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়ন নিয়ে খুব ভালোভাবে জানতে হবে।

এডিটিং ও প্রুফ রীডিং

যেকোন লেখার প্রাথমিক ভার্সন বা ড্রাফট তৈরি হবার পর বানান ও ভাষা রিভিউ করা গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এর মাধ্যমে লেখার মান বাড়ানো সম্ভব। এ কাজ করার জন্য ভাষার উপর ভালো দখল থাকা দরকার। এছাড়া, ধৈর্য সহকারে খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!