class="post-template-default single single-post postid-737 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

সরিষা তেল খাওয়ার এই উপকারগুলো আগে জানতেন কী?

সরিষা তেল খাওয়ার এই উপকারগুলো আগে জানতেন কী?

সরিষা তেল যেমন সুবাস

তেমনি এর শারীরিক উপকারিতার বিষয়টিকেও উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত তেলটি ব্যবহার করে রান্না করা খাবার খেলে শরীরের একাধিক উপকার হয়।

বেশ কিছু বছর আগে একদল গবেষক এমন প্রচার চালানো শুরু করেছিলেন যে, সরিষা তেল খাওয়ার যোগ্য নয়। কারণ  তেলটি খেলে নাকি শরীরের ভেতর টক্সিক উপাদানের মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু এই ধরণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবু গত এক দশকে এই তেলটিকে নিয়ে গুজবের পাহাড় তৈরি হয়েছে।

কোন কথাটা ঠিক, আর কেনটা বেঠিক, তা না জেনেই সরষের তেলের ব্যবহার চোখে পরার মতো কমে গেছে। আজকাল অনেকেই এমনও মনে করেন যে এই তেলটি নাকি হার্টের ক্ষতি হয়। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই হয় না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে যদি মেনে নেন, তাহলে একথা বলতেই হয় যে শরীর এবং ত্বকের উপাকারে নানাভাবে কাজে লাগে এই তেলটি।

তাই সরিষা তেল খেলে শরীরের কোনও ক্ষয় ঘটবে, এমনটা মেনে নেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই বললেই চলে। বরং যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে রোজের ডায়েটে এই তেলটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে  নানা উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন…

 

. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

সরিষা তেল খাওয়া শুরু করলে হার্টের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, বরং কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশানে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে, সরষের তেলে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

 

. ক্যান্সার রোগের প্রকোপ কমায়:

সরিষা তেলে উপস্থিত গ্লকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিন এই তেলটি খেলে এমন ধরনের মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যে অনেকাংশেই হ্রাস পাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

 

. শ্বাস কষ্ট দূর হয়:

একাধিক গবেষণায় একথা প্রামাণিত হয়েছে যে, শ্বাসকষ্ট সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের সমস্যা কমাতে সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যারা এমন ধরনের রোগকষ্টে ভুগছেন, তাদের নিয়মিত সরিষার তেল খাওয়া উচিত।

 

. আর্থ্রাইটিস রোগের কষ্ট কমায়:

সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, এই দুটি খনিজ সরষের তেলে খুব বেশি পরিমাণ থাকে, যা আথ্রাইটিসের প্রদাহ কমানোর পাশপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা এমন ধরনের হাড়ের রোগে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন সরষের তেলে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।

 

. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

সরিষা তেলে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে আমাদের একাধিক রোগের খপ্পর থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!