সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল ৮টি প্রাণ
রাজশাহীতে আজ শুক্রবার এক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলের চার আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে রাজশাহীর পুঠিয়া, গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিন বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাসের চাপায় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নজরুল ইসলাম (৫০) ও মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে পুঠিয়া থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বানেশ্বর এলাকায় একটি ট্রাক তাঁদের পেছন থেকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নজরুল মারা যান। স্থানীয় লোকজন মিজানুর রহমানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহত নজরুল রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ চৌদ্দপাই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি জানান, উপজেলার কামারপাড়া এলাকার একটি মসজিদে নামাজ পড়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় মুরগি ব্যবসায়ী জুয়েল রানা (২৭)। বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে চিনিভর্তি একটি ট্রাক তাঁকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই জুয়েল মারা যান। পরে তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জুয়েল উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আজম আলীর ছেলে।
আজ বিকেলে চারঘাট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু তাহের জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে ইমরান আলী (২৬) ও মালেক (৫২) নামের দুই ব্যক্তি বানেশ্বর-বাঘা সড়ক দিয়ে বানেশ্বর থেকে চারঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা একটার দিকে চারঘাটের চোঙ্গাতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে সামনে থেকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই ইমরান আলী ও মালেক মারা যান। ইমরান নাটোরের কানাইখালী এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে এবং মালেক গুরুদাসপুর উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলে করে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাটের দিকে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। বিকেল চারটার দিকে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকায় পৌঁছালে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়। পুলিশ বাসটি জব্দ করলেও যানটির চালক পলাতক রয়েছেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেলে এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের কালিহাতী উপজেলার যদুরপাড়া মোড়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে একটি বাস সামনে থেকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজির চালকসহ তিনজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হতাহত ব্যক্তিরা অটোরিকশায় করে ভূঞাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
নিহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নে বড় বিন্যাফৈর গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী রনি বেগম (২৬) এবং মৃত তোরাপ আলীর স্ত্রী তারা বানু (৬০)।
সূত্র : প্রথম আলো