শরীরের জন্য ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কমবেশি সবারই জানা আছে। তবে জেনে রাখা ভালো, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, উচ্চকোলেস্টেরলে আক্রান্ত এবং অতিরিক্ত ওজনের মানুষের জন্য ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। আর হার্টের অসুখে তো অবশ্যই নিয়ম মেনে কিছু ব্যায়াম করতে হবে। তবে হার্টের অসুখে ভোগা রোগীদের জন্য অন্যদের মতো কঠিন শারীরিক কসরত বা ভারি ব্যায়াম করা উচিত নয়। হৃদরোগীদের ব্যায়াম শারীরিক হালকা পরিশ্রম, হাঁটাচলা ও জগিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। এতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জমতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। আবার হৃদরোগীদের মনে রাখতে হবে, ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম করা কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমে খানিকটা হালকা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে এবং এরপর ব্যায়ামের গতি একটু একটু করে বাড়াতে হবে। সপ্তাহে কম করে হলেও পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে অথবা সকালে ১৫ মিনিট এবং বিকালে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।
যারা ব্যায়াম করতে চান, তাদের আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে, কখনো ভরা পেটে ব্যায়াম করবেন না। সব সময় খালি পেটে ব্যায়াম করবেন। কারণ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভরা পেটে ব্যায়াম করলে
অনেক সময় খাবার ওপরের দিকে উঠে বুকে ব্যথা হতে পারে, যা অনেক সময় হার্টের ব্যথার মতো মনে হয়। তাই খালি পেটে ব্যায়াম করা ভালো। আবার অনেকে জানতে চান, সকালে, না বিকালে ব্যায়াম করবেন। সকালের এবং বিকালের ব্যায়ামের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা উচিত নয়। একটু হালকা হাঁটাচলা করে তারপর ব্যায়াম করা ভালো। তবে অপেক্ষাকৃতভাবে সকালের চেয়ে বিকালের ব্যায়াম ভালো। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ যেন হঠাৎ কমে না যায়।