ইসিজি নরমাল মানেই যে হার্ট অ্যাটাক হয়নি—এমনটি মনে করা যাবে না
অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান, হৃদরোগ বিভাগ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
করোনারি হৃদরোগ নির্ণয়ে রোগীকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথমেই আসে ইসিজি। অনেকের ধারণা, ইসিজি স্বাভাবিক তো সব ঠিক, হৃদরোগ নেই। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়।
অনেকের বুকে ব্যথা থাকলেও দেখা যায়, ইসিজি নরমাল। কিন্তু ইসিজি নরমাল মানেই যে হার্ট অ্যাটাক হয়নি—এমনটি মনে করা যাবে না। অনেকেই এ ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন। অথচ ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ইসিজিতে হার্ট অ্যাটাকের প্রমাণ মেলে না। রোগীর অবস্থা বুঝতে হয় রোগীর উপসর্গ শুনে। কারো বুকের ব্যথার পর ইসিজি নরমাল এলেও প্রয়োজনে কিছুক্ষণ হাসপাতালে অবজারভেশনে থেকে আবার ইসিজি করানো উচিত।
তা ছাড়া ইটিটি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, করোনারি এনজিওগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করালে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তার হার্টে আদৌ কোনো সমস্যা রয়েছে কি না। এরপর চিকিৎসকরা রোগীকে এনজিওপ্লাস্টি কিংবা বাইপাস অপারেশনের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দিতে পারেন। তাই চিকিৎসকের কাছে গেলে শারীরিক অসুবিধা ও রোগের উপসর্গগুলো তাঁকে বলুন।
https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM&feature=youtu.be&fbclid=IwAR2HglGA9JSXIEbcvEWF0-NSYX9OzQEZymVGMbPrRjOZLDTmhxxrotcebkA