তবে হ্যাঁ, ছেলেবেলার মতো যখন-তখন মুঠো মুঠো জলজিরা কিন্তু শরীরের ক্ষতিই করে। কিন্তু নিয়ম ও পরিমাণ মেনে জলে মিশিয়ে এই জলজিরা খেলে তা হতে পারে রোজনামচার বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার সমাধান। বেশ কিছু ক্রনিক অসুখের ক্ষেত্রেও কাজ করে এই পানীয়।

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ভাস্করবিকাশ পালের মতে, ‘‘জলজিরা ঘন ঘন মুঠো মুঠো খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তবে মৌরি বা জোয়ানের মতো দু’-এক চামচনিয়ম করে জলে মিশিয়ে খেলে এই পানীয় সমাধান করে কিছু সমস্যার। বেশ কিছু শারীরিক অসুবিধার সঙ্গে আমাদের প্রায়ই মুখোমুখি হতে হয়, সব সময় ওষুধ হাতের কাছে থাকেও না, তখন এই সব জিনিস তাৎক্ষণিক সমাধান হিসাবে কাজে আসে। তা ছাড়া জলজিরায় থাকা নানা উপাদান বেশ কিছু ক্রনিক অসুখের পথ্যও। তবে জলজিরায় অসুবিধা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’

জানেন কী কী স্বাস্থ্যকর দিক আছে এই স্বাদু পানীয়তে?

  • জিরে গুঁড়ো, আম, পুদিনা, ধনে পাতা এ সব দিয়ে তৈরি হয় জলজিরা । এগুলি সবই হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে তোলার উপাদান। তাই জলজিরায় বদহজম, অম্বল কমায়। জলজিরা ঐতিহ্যগতভাবে একটি কাদা মাটির পাত্রে তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতি জলকে আরও ক্ষারীয় করে তোলে। তাই অম্লতা দূর করতে কার্যকরী।
  • খাদ্যে অরুচি এলে এই পানীয় তার সহজ সমাধান। এর প্রতিটি উপাদান স্বাদকোরকে নুন-টক-মিষ্টির একটি উপাদেয় স্বাদ আনে ও অরুচি সরায়।
  • হজমের সব উৎসেচকগুলিকে উদ্দীপ্ত করে পেটকে ঠান্ডা রাখে এই পানীয়। তাই ভারী খাওয়াদাওয়া হলে এক গ্লাস জলে জলজিরা মিশিয়ে খেলে তা আরাম দেয় শরীরকে।
  • জলজিরার উপাদাগুলির বেশির ভাগই অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল হওয়ায় তা শ্লেষ্মাজনিত অসুখ ঠেকাতে সক্ষম। তবে সে ক্ষেত্রে গরম জলে গুলে খান জলজিরা।
  • জিরে লোহার সমৃদ্ধ উৎস। তাই জলজিরা রক্তে লোহার ভারসাম্য বজায় রাখে।