কুমিল্লার খবর : কুমিল্লা নগরীর নোয়াগাঁও-বেলতলী সড়কের নোয়াগাঁও রেল গেইটের পূর্ব অংশে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণের দুই মাস না যেতেই অন্তত দুইশ মিটার ধসে পার্শ্ববর্তী খালে পড়েছে। এ ঘটনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর নির্দেশে কুসিকের প্রধান প্রকৌশলী শফিকুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, কুসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ ও কুসিক ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মো. মাহবুবুর রহমান।
কুসিক সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর উত্তর চর্থা নওয়াব বাড়ি চৌমুহনী এলাকা থেকে নোয়াগাঁও হয়ে নগরীর বেলতলী এলাকার ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তার পাশে দৃষ্টিনন্দন করে রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণের কাজ পায় এমসিএইচএল এবং হক এন্টারপ্রাইজ নামের দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রায় দুই মাস আগে নোয়াগাঁও এলাকায় রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার নোয়াগাঁও রেল গেইটের পূর্ব দিকের রাস্তার পাশের রিটার্নিং ওয়ালটি সকাল ৯টার দিকে ধ্বসে খালে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কুসিকের স্থানীয় ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ তদারকি করছে। তাই রিটার্নিং ওয়াল ধ্বসে পড়ার কারণ উদঘাটনসহ পরবর্তী করণীয় নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’
কুসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রকৌশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া বলেন, ‘এমসিএইচএল এবং হক এন্টারপ্রাইজ নামের দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি পেয়েছে। আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি জেনেছি। ধ্বসে পড়া স্থানটি দেড়শ ফুট হতে পারে। ওই এলাকার কাজটি পুরো কাজের একটি আলাদা অংশ। ধ্ব পড়া কাজের সঙ্গে পুরো কাজের গুণগত মানের তুলনা করা যাবে না। প্রকল্পের কাজ এখনো চলছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। তবে কি কারণে ওয়ালটি ধ্বসে পড়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিটার্নিং ওয়াল ধ্বসে পড়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলীরা ওই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’