ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তিনি খুব ভালো করে চেনেন। চার বছর একসঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। রোনালদো আর তিনি একই সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। রোনালদোকে চেনেন বলেই রাউল আলবিওল জানেন, গোল না পেলে কতটা মেজাজ চড়তে থাকে রোনালদোর। আর তাই সাবেক সতীর্থকে আগে থেকেই সতর্ক করছেন এই বলে, বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত থাকো!
রাউল আলবিওল অনেক আগেই স্প্যানিশ লিগ ছেড়ে ইতালিয়ান লিগে নাম লিখিয়েছেন। খেলছেন নাপোলির হয়ে। আর এখানে ৫ বছর ধরে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, স্প্যানিশ লিগ আর ইতালিয়ান লিগে বিস্তর ফারাক। ইতালির ফুটবল রক্ষণাত্মক কৌশলের জন্য সুখ্যাত। এটাই তাদের ঐতিহ্য। এখানে গোল করা অত সহজ নয়।
জুভেন্টাসে তিন ম্যাচ খেলেও গোল পাননি রোনালদো। আর রাউল আলবিওল বলছেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো দুর্দান্ত খেলোয়াড়, ও অন্য মানের। কিন্তু ইতালিতে মৌসুমে ৪০ গোল করা ওর জন্য অনেক কঠিন হবে। আর আমি আশাও করব ও যেন এত গোল না পায়। কারণ তা পেলে সেটা হবে জুভেন্টাসের জন্য ভালো, নাপোলির জন্য খারাপ।’
টানা ৮ মৌসুম রোনালদো রিয়ালের জার্সি গায়ে ৪০-এর বেশি গোল করেছিলেন। এর মধ্যে টানা ৬ মৌসুম গোল করেছেন ৫০টিরও বেশি। সেই রোনালদো ইতালিয়ান লিগে শুরু থেকে যুঝছেন গোলের নিশানা পেতে। অনেকে বলছেন, রোনালদো জুভেন্টাসের জার্সিতে রিয়ালের মতো গোল পাবেন না। আবার অনেকে এও বলছেন, নতুন লিগ, নতুন ক্লাবে মানিয়ে নিতে সময় একটু লাগবেই। গত মৌসুমেও রোনালদোর শুরুটা হয়েছিল একেবারে যাচ্ছেতাই। তারপরও তো শেষ পর্যন্ত ৪৪ ম্যাচে সমান গোল নিয়ে মৌসুম শেষ করলেন। এক চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করেছেন ১৫টি, জিতেছেন গৌরবের এই টুর্নামেন্টের পঞ্চম ট্রফি।
রাউলও বলছেন, ‘মাদ্রিদে ও গত মৌসুমটা ধীরে শুরু করেছিল। শুরুর দিকে সেভাবে গোল পাচ্ছিল না। তবু শেষটা করল কী অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান দিয়ে! প্রতি মৌসুমে যে খেলোয়াড়টি এত এত গোল করে, তার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে। এমনি এমনি তো আর প্রতিবার গোল করা যায় না।’
রোনালদো দ্রুতই নিজের সেই কিছু একটার জাদু দেখানোর সুযোগ আবার পেয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে রোববার মাঠে নামছে জুভেন্টাস।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোনালদো
লিগ | চ্যাম্পিয়নস লিগ | মোট | ||||
মৌসুম | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল |
২০০৯–১০ | ২৯ | ২৬ | ৬ | ৭ | ৩৫ | ৩৩ |
২০১০–১১ | ৩৪ | ৪০ | ১২ | ৬ | ৫৪ | ৫৩ |
২০১১–১২ | ৩৮ | ৪৬ | ১০ | ১০ | ৫৫ | ৬০ |
২০১২–১৩ | ৩৪ | ৩৪ | ১২ | ১২ | ৫৫ | ৫৫ |
২০১৩–১৪ | ৩০ | ৩১ | ১১ | ১৭ | ৪৭ | ৫১ |
২০১৪–১৫ | ৩৫ | ৪৮ | ১২ | ১০ | ৫৪ | ৬১ |
২০১৫–১৬ | ৩৬ | ৩৫ | ১২ | ১৬ | ৪৮ | ৫১ |
২০১৬–১৭ | ২৯ | ২৫ | ১৩ | ১২ | ৪৬ | ৪২ |
২০১৭–১৮ | ২৭ | ২৬ | ১৩ | ১৫ | ৪৪ | ৪৪ |