যে কারণে ইউরোপ
স্কলারশিপে টিউশন ফি ছাড়া পড়ার সুযোগও আছে অনেক ইউরোপীয় দেশে। পড়াশোনার পাশাপাশি আছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ। এ ছাড়া ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেরই শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠদান পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানের, যা সারা বিশ্বেই গ্রহণযোগ্য।
কোন দেশে কী বিষয়ে
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরই বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় আছে জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক, স্পেন, গ্রিস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেশ ও বিষয়ভেদে ব্যাচেলর স্তরে পড়াশোনা করতে হয় তিন থেকে চার বছর। চাহিদা আছে এমন সব বিষয়েই পড়তে পারবেন ইউরোপে।
ভর্তি কবে, কখন, কিভাবে
বছরে দুই থেকে তিনবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান। সেশন শুরু হওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন মাস আগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। আবেদন ফরম সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগ্য শিক্ষার্থীদের ঠিকানায় ‘অফার লেটার’ পাঠায়। এর পরই শুরু হয় ভিসা প্রক্রিয়া। আইইএলটিএসে অন্তত ৫.৫ থেকে ৬.০ থাকতে হয়। টোফেল-আইবিটি স্কোর থাকতে হয় ৬১ থেকে ১০০।
বিশ্ববিদ্যালয় ও বৃত্তির খোঁজ অনলাইনে
সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষাবিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইট কিংবা কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেই ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফিসহ দরকারি সব তথ্য পাবেন। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাচ্ছেন, তা সে দেশে কোন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান কিংবা র্যাংকিং কত, তা জেনে নিতে ভুলবেন না। অনলাইনে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জেনে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করা উচিত। অনেক বাংলাদেশি ইউরোপীয় দেশগুলোতে স্কলারশিপের সুযোগ পেয়ে পড়াশোনা করছেন। অনলাইনে বেশ কিছু সাইটে ইউরোপীয় দেশের বৃত্তির তথ্য পাবেন। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.moedu.gov.bd) নিয়মিত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির নোটিশ প্রকাশ করা হয়।