বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের বহুল আলোচিত মুভি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস (অ্যাপসা) দ্বিতীয় সেরা ছবি হয়েছে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের নির্মাণটি এবং সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান আজমেরী হক বাঁধন। এ ছাড়া হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জিতেছে নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড। ছবিটির ব্যাপক সুনামের পাশাপাশি সমালোচনাও আছে। সেই সমালোচকদের একজন তসলিমা নাসরিন।
প্রখ্যাত এই নারীবাদী লেখিকা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘প্রথম কানে গিয়েছে বাংলাদেশের কোনও ছবি, খুব স্বাভাবিক যে সে ছবিটি দেখার আগ্রহ খুব হবে আমার। ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হল কাল রাতে।
রেহানা মারিয়াম নূর। ছবিটির প্রধান চরিত্রে আমার মনে হয়নি আছেন কোনও সৎ বা উদার কোনও মানুষ। প্রথম থেকেই সে রগচটা, রুক্ষ, স্বার্থপর, একগুঁয়ে, আত্মকেন্দ্রিক। ধার্মিক রেহানাকে যদি নারীবাদী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে ভুল।’
‘নারীবাদীদের সংবেদনশীল হতে হয়। যত না সংবেদনশীল সে, তার চেয়ে বেশি প্রতিশোধপরায়ণ। তার জন্য কোনও শ্রদ্ধা বা সহানুভূতি জন্মায়না। ছবিটি ডেনিশ ডগমা ফিল্মের মতো হাত-ক্যামেরায় শুট করা। কিন্তু বারবারই জনমানবহীন হাসপাতালের একই করিডোর, একই ঘোলা ঘর। কোনও আউটডোর নেই। কোনও আকাশ বাতাস নেই। ছবিটি ছবি না হয়ে কোনও ডার্ক নাটক হলে ভালো হতো। সিনেমার বড় পর্দায় না দেখিয়ে মঞ্চে দেখালে মানাতো।’