class="post-template-default single single-post postid-50883 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে?

মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন চলছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এই দুই শ্রেণির পরীক্ষা আর প্রচলিত পদ্ধতিতে হবে না। এর বদলে চালু হচ্ছে, নতুন শিখন-শেখানো কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক এবং বার্ষিক পরীক্ষার বদলে ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন (পরীক্ষা) পদ্ধতি চালু হচ্ছে।

শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের এই ধারাবাহিকতায় এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে সকল আঞ্চলিক পরিচালককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

অফিস আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অধীনে পরিচালিত মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রমে যা অনুসরণ করতে হবে

১) ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে সম্পাদন করতে হবে;

২) এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনও পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট গ্রহণ করা যাবে না;

৩) শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে;

৪) নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে;

৫) নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনও রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ দায়ী থাকবেন।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন যেভাবে

প্রচলিত মূল্যায়ন বা পরীক্ষা পদ্ধতির বদলে যে পদ্ধতি চালু হচ্ছে তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এখনও হয়তো অনেকের অনেক রকম সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ভালো বলছেন, আবার অনেকেরই সংশয় রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন— পরীক্ষা থাকবে না। তাহলে কেমন হলো? পরীক্ষা থাকবে না, আসলে তা ঠিক নয়। অনেক পরীক্ষাই থাকবে, আবার অনেক পরীক্ষা থাকবে না। কিন্তু পরীক্ষা থাকবে না— এর মানে মূল্যায়ন থাকবে না তা নয়। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।

দীপু মনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন— শিক্ষকদের হাতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের যে অংশ থাকবে, তাহলে কি শিক্ষকদের হাতে জিম্মি হয়ে যাবো? শিক্ষকদের প্রতি আমাদের যেমন সম্মান থাকতে হবে, তেমনি আস্থাও রাখতে হবে। হ্যাঁ, কোথাও কোথাও আস্থাহীনতা ঘটে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানে যেন সমস্যা না হয়, সেটা দেখেই আমরা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই।

নতুন শিক্ষক্রম অনুযায়ী, মাধ্যমিকের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ ও সামষ্টিক মূল্যায়ন (বছর শেষে পরীক্ষা) ৪০ শতাংশ।

বাকি বিষয় জীবন ও জীবিকা, তথ্যপ্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্ম শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি (বিদ্যমান বিষয়-চারু ও কারু কলা) শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।

আর নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৫০ শতাংশ আর সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ।

নবম ও দশম শ্রেণির বাকি বিষয়গুলোর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!