পড়ার সময় গান শোনার অভ্যেস নিয়ে কম বকাঝকা শুনতে হচ্ছে না নিশ্চয়ই। কিন্তু এরও আছে উপকার! গানের তালের সঙ্গে পড়াশোনার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেলে দেখবে পড়াগুলো পটাপট গেঁথে যাচ্ছে নিউরাল নেটওয়ার্ক-এ।
গান শুনবে কেন?
মেটাল কিংবা হার্ড রক বাজিয়ে পড়তে গেলে না হবে গান শোনা, না হবে পড়া। এটা মানতেই হবে। কিন্তু যদি পদার্থবিজ্ঞানের জটিল সূত্র পড়ার সময় শুনতে থাকো মৃদু লয় ও শব্দে চৌরাশিয়ার বাঁশি কিংবা কৌশিকির উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত? পড়া কিন্তু জলদি জলদিই মাথায় ঢুকবে। শান্ত হবে স্নায়ুটাও।
যাদের ভারতীয় ক্লাসিক্যাল একেবারেই এখন ভালো লাগছে না তারা শুনতে পারো বিটোফেন, শঁপা, মোৎজার্ট বা বাক-এর সিমফোনি। এসব নিয়েও অনেক অনেক গবেষণা হয়েছে। এই বিখ্যাত কম্পোজারদের মিউজিক শুনলে নাকি চিন্তার ক্ষমতা হু হু করে বাড়ে। একে বলে মোৎজার্ট এফেক্ট। সুতরাং চেষ্টা করতে ক্ষতি কী! তবে পড়ার সময় পছন্দের এড শিরান না শোনাই মঙ্গল। এতে করে বেয়াড়া ঘুড়ির মতো গানের কথার দিকে মনটা বারবার গোত্তা খেয়ে চলে যেতে পারে।
আবহ সঙ্গীত পড়ায় মন বসায়। কিছু কিছু গবেষণা এমনটাই বলছে। আবহ সঙ্গীত মানে যাকে বলে সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড ট্র্যাক। এ ক্ষেত্রে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারো হ্যান্স জিমারের মিউজিকগুলো (Interstellar, Inception, Pirates of the Caribbean) । যাদের এ আর রহমান পছন্দ তারা ইউটিউবে A R Rahman Background Score লিখে সার্চ করলেই পাবে অনেক অনেক ট্র্যাক।
পড়ার সময় ইউটিউবে ছেড়ে দিতে পারো প্রাকৃতিক শব্দ। এটাও তোমার মনকে শান্ত করবে। বাড়াবে ধৈর্য ও মনযোগ। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাবে জঙ্গলের শব্দ, বৃষ্টির শব্দ, বজ্রপাত ও আরো অনেক শব্দ।
পড়তে পড়তে গান শোনার মূল উদ্দেশ্য হলো পড়াটা যেন মনে থাকে। তাই গানের ভলিউমটা একটু কমিয়ে রাখাই উত্তম। একটু পর পর গান যেন বদলাতে না হয়, সেজন্য তৈরি করে রাখো পছন্দের প্লে লিস্ট। সেটা ঘণ্টাখানেকের হলেই চলবে।
ঘুমুতে যাওয়ার আগে গান শুনতে পারো। আবার পরীক্ষার হলে ঢোকার আগেও এক ঝলক শুনে নিতে পারো নিজের প্রিয় গানগুলো। মন স্থির হবে এতে। কাটবে পরীক্ষাভীতিও।