কাপড় ধোয়ার জন্য আবার যন্ত্র লাগে নাকি! ও তো হাতেই কাচা যায়। কিন্তু কাপড়ের তৈরি জুতো, পুতুল কিংবা ফ্লোর ম্যাটটা যে দিন দিন নোংরা হয়েই চলেছে? তাই প্রশ্নটা আরাম আয়েশের নয়, প্রয়োজনের! ওয়াশিং মেশিন -এ কাপড় ছাড়া আর কী ধোবেন তা জানা যাক এবার
স্নিকার্স ও ক্যানভাস
ওয়াশিং মেশিন এ স্নিকার্স ও ক্যানভাস শু, দুটোই ধোয়া যায়। তবে তার আগে কিছু বিষয়ে রাখতে হবে খেয়াল।
১. যতটা সম্ভব ব্রাশ দিয়ে আগে কাদামাটি বালি ঝেড়ে নিতে হবে।
২. রাতভর কয়েক চা চামচ বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখতে হবে।
৩. ফিতে খুলে নিতে হবে। ফিতে ধোয়ার জন্য সেটাকে বালিশের কাভারের ভেতর রাখা যেতে পারে।
৪. লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে। ওয়াশারকে কোল্ড মুডে রাখতে হবে।
৫. ধোয়ার পর স্নিকার্স বের করে বাতাসে শুকাতে হবে। কখনো স্নিকার্সকে ড্রায়ারে দিতে যাবেন না। ড্রায়ারের তাপে জুতোর আঠা নষ্ট হতে পারে। আর জুতোর মাঝে ভাঁজও তৈরি হবে।
ওয়াশিং মেশিন ও পুতুল
বাচ্চাদের খেলার পুতুল নোংরা তো হবেই। ওটা ধুতেও জানা চাই নিয়মকানুন। প্রথমেই চেক করে নিন পুতুলের গায়ে ধোয়া সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা আছে কিনা। কটন ছাড়া যেসব প্লাস্টিক পেলেটযুক্ত পুতুল আছে, সেগুলোকে মেশিনে না দেওয়াই ভাল। এদের জন্য হাতই ভরসা। পুতুলের আকার ছোটখাট হলে সেটাকে একটা ম্যাশ ব্যাগে (নেটের তৈরি জালি ব্যাগের মতো দেখতে) ঢুকিয়ে তারপর মেশিনে দেবেন।
হাত দিয়ে ধুতে চাইলে ঠাণ্ডা পানিতে সাধারণ শক্তির (মাইল্ড) ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। পুতুল শুকানোর সময় এর আঠা বা প্লাস্টিককে অক্ষত রাখতে চাইলে প্রখর তাপ বা ড্রায়ারে না দিয়ে বাতাসে ঝুলিয়ে রেখে শুকোতে দিন।
কার্টেইন লাইনারও ধোবে ওয়াশিং মেশিন
পর্দায় যে লাইনার থাকে ওটাও কিন্তু হাত দিয়ে কাচা দুষ্কর। তবে ওয়াশারে দেওয়ার আগে এর সঙ্গে কয়েকটা টাওয়েল দিতে ভুলবেন না। এতে লাইনার ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
চেয়ার কুশন থেকে ফ্লোর ম্যাট
অনেক চেয়ারেই বাড়তি একটা কুশন লাগানো থাকে। ওটাও অনায়াসে ধুতে পারবেন মেশিনে। এর জন্য যথাসম্ভব কম সাইকেল ও কোল্ড সেটিং দিয়ে রাখুন। ফ্লোর ম্যাটের বেলাতেও তাই। তবে দুটো আবার একসঙ্গে দিতে যাবেন না।
ওয়াশিং মেশিন থাকলে পার্স নিয়ে চিন্তা নেই
মোটামুটি কিছুদিন ব্যবহারের পর মলিন হয়ে আসা পার্সটা ফেলে দেওয়ার আগে একবার ওয়াশিং মেশিনে রেখে দেখুন। সফট ওয়াশেই পুরনো ব্যাগটা ফিরে পেতে পারে হারানো জৌলুস।
জুতোর ফিতে ও অন্যান্য
যেসব জিনিসপত্র হাতে ধোয়ার কথা মাথায় আসলে একগাদা বিরক্তি ভর করে, সেগুলোও আরামসে পরিষ্কার করতে পারবেন ওয়াশিং মেশিনে। জুতো থেকে চুলের ফিতা, হেডব্যান্ড, রিবন; সবগুলোকে ম্যাশ ব্যাগে ভরে ঢুকিয়ে দিন ওয়াশিং মেশিনে। এ ছাড়া হ্যাট, ছোটখাট প্লাস্টিকের খেলনা (বৈদ্যুতিক নয়), দাম দিয়ে কেনা বাজারের ব্যাগ, অফিসে লাঞ্চ বয়ে বেড়ানো পাটের ব্যাগ; সহজেই এসব ঝকঝকে করে দেবে ওয়াশিং মেশিন।