class="post-template-default single single-post postid-10850 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

অনিদ্রা সমস্যা কাটানোর উপায়

 অনিদ্রা
কিছু সমস্যা আছে, যা আপাতদৃষ্ট সমস্যা বলে মনে হয় না। কিন্তু এর প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। সে রকম একটি সমস্যা অনিদ্রা। অনিদ্রা সমস্যা কাটানোর উপায় জানা যাক এবার

কী কারণে ঘুম হচ্ছে না প্রথমত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে সাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে কেউ কেউ দিনে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা ঘুমিয়েও সুস্থ থাকেন। কেউ সুস্থ থাকেন ১১ ঘণ্টা ঘুমিয়ে। তবে মানুষ ৬ থেকে ১০ ঘণ্টার মতো ঘুমিয়ে সুস্থ থাকে।

কী করবেন
রাতের খাবার ১০টার মধ্যেই খেয়ে ফেলুন। খাওয়ার পর পরই শুয়ে পড়বেন না। ঘণ্টাখানেক হাঁটাহাঁটি, গল্পগুজব ও গান শুনে কাটিয়ে দিন। রাতের খাবার যেন হালকা ও সহজপাচ্য হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। দুধের ক্যালসিয়াম ও মেলাটোনিন ঘুম আনতে সাহায্য করে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে টিভি-ভিডিও দেখা চলবে না। কোনো উত্তেজক সিনেমা বা বই নয়। ঘর অন্ধকার করে শুতে পারেন। পছন্দসই হালকা আলো ঘরে রাখতে পারেন। হালকা মিউজিকের গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়–ন।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা-কফি কিছুই খাবেন না। হাত-পা ভালো করে ধুয়ে নিন। ঘাড়ে বা কানের লতিতে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। চুলটা সুন্দর করে বেঁধে বা আচড়ে নিন। বিছানা ঠিক আছে কি না দেখে নিন। বিছানা গোছানো ও অবশ্যই পরিষ্কার থাকা দরকার।

ঘুমের মহা ওষুধ হলো গোসল। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। শীতে অবশ্যই গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন।

অভ্যাস করতে পারেন যোগাসন। যোগাসন ঘুম আনতে সাহায্য করে। মন থেকে সব দুশ্চিন্তা ও টেনশন ঝেড়ে ফেলুন। রিল্যাক্সেশন খুবই দরকার।

ভালো ঘুমের জন্য বিছানার সঙ্গে সম্পর্ক রাখুন শুধু ঘুমের সময়। ঘুমের সমস্যা থাকলে দুপুরে ঘুমানো ছেড়ে দিন। সারা দিন বিছানায় শুয়ে-বসে থাকবেন না। শোবেন কেবল রাতের সময়। একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে ঘুমাতে যান। যদি রাত ১০টায় ঘুমাতে যান তবে প্রতিদিন রাত ১০টায়ই ঘুমান।

ঘুমাতে গিয়ে ঘুম আসছে না ভেবে কখনো ঘড়ি দেখবেন না। কারণ ঘুম কখনো ঘড়ি ধরে আসে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!