class="post-template-default single single-post postid-14521 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

গর্ভাবস্থায় জ্বর বা যন্ত্রনা হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? …সর্বনাশ!

গর্ভাবস্থায়ব্যথা ও জ্বর নিরাময়ে প্যারাসিটামলের মতো নিরাপদ ওষুধ খুব বেশি নেই বলেই এই ওষুধ আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত। অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন।

দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ-মাদক বেদনানাশক, বিশেষ করে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর। কিন্তু তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত। বিশেষ করে প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে তার থেকে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার (ADHD) বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার (ASD)-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য পরিমানে প্যারাসিটামল বা এসিটামিনোফেন সেবনের ফলে ভ্রূণের স্নায়বিক গঠনতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে সদ্যজাত শিশুর শরীরে দেখা দিতে পারে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসর্ডার বা অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসর্ডার-এর মতো মারাত্মক স্নায়ুরোগ।

এই গবেষকদের মতে, প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থায় জ্বর বা যন্ত্রনা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়াই উচিত নয়। তাই গর্ভবতী মহিলা বা শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন গবেষকরা। চিকিত্সকদের মতে, ২৪ ঘণ্টায় ৪ গ্রাম বা ৪০০০ মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!