বাজারে আসছে স্যামসাং পরিবারের নতুন সদস্য স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২। এটা কোনও সাধারণ কম্পিউটার নয়। এটিতে ইনটেল চিপ ব্যাবহার করা হয়নি। এটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর ৮৫০ দ্বারা চালিত। চলতি বছরে দ্বিতীয়বার কোনও ডিভাইসে এই প্রযুক্তি ব্যাবহৃত হচ্ছে। এই প্রসেসরের জন্য এর পারফর্ম্যান্স বেশ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
অপেক্ষা আর কয়েক দিনের। বাজারে আসছে স্যামসাং পরিবারের নতুন সদস্য স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২। এটা কোনও সাধারণ কম্পিউটার নয়। এটিতে ইনটেল চিপ ব্যাবহার করা হয়নি। এটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর ৮৫০ দ্বারা চালিত। চলতি বছরে দ্বিতীয়বার কোনও ডিভাইসে এই প্রযুক্তি ব্যাবহৃত হচ্ছে। এই প্রসেসরের জন্য এর পারফর্ম্যান্স বেশ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
স্যামসাংয়ের এই নতুন মডেলটি পুরোপুরি অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি। এর ওজন আটশো গ্রামেরও কম। যদিও এটি আইপ্যাডের মতো হাল্কা নয়, তবুও এটিকে একটি ট্যাবলেটের মতো ব্যবহার করাই যায়। এই মডেলটির ডিসপ্লে ১২ ইঞ্চি আর এর রেজলিউশন ২১৬০x১৪৪০x২১৬ পিক্সেলস প্রতি ইঞ্চি। এ ছাড়াও স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২ মডেলে আছে সুপার এমলেড প্যানেল যার সাহায্যে ডিসপ্লে কালারগুলি ভীষণ উজ্জ্বল লাগে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২-র বক্সের মধ্যে এসপেন আর কিবোর্ড আছে। এই মডেলের এসপেনটি আগের থেকে অনেক বড় আকারের আর এর বামদিকে একটি চুম্বক আছে। এর মোবাইল সংস্করণের মতোই এই মডেলেও আমরা এসপেনটির সাহায্যে স্ক্রিনের উপর খুব সহজেই লেখালেখি করতে পারি।
সামসাংয়ের এই গ্যালাক্সি বুক ২ মডেলটির কিবোর্ডটি অরিজিনাল গ্যালাক্সি বুকের মতোই। আগের মতোই এতে টাইপ করার সুখ আলাদা। এর কিক্যাপগুলি ভীষণ মসৃণ যা তাড়াতাড়ি টাইপ করতে সাহায্য করে। তবে এর টাচপ্যাডটা প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই ছোট।
এই ডিভাইসটিতে দু’টি ইউএসবি পোর্ট আছে এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট আছে। পোর্টগুলিতে খুব সহজেই ডঙ্গল লাগানো যাবে। এ ছাড়াও এতে একটি হেডফোন জ্যাক আছে। এটি দুর্দান্ত গতিসম্পন্ন এলটিই কানেকশান সাপোর্ট করে। অন্যান্য কম্পিুটার বা ট্যাবলেট যেমন একবার স্লিপ মোডে চলে গেলে নর্মাল মোডে ফিরতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নেয়, স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২-তে তা হবে না। নর্মাল মোডে ফিরেই এই মডেলটিতে ওয়াইফাই দ্রুতগতিতে কাজ করতে শুরু করে দেয় যেটি অন্য কোন ডিভাইসে সম্ভব নয়।
স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২-র ব্যাটারি ব্যাকঅ্যাপ দুর্দান্ত। একবার চার্জ দিলে সেটি কুড়ি ঘণ্টা অবধি চলে। এর অন্যতম কারণ, এটি উইনডোজ ১০ সাপোর্ট করে শুধুমাত্র এস মোডে। ব্যাবহারকারিরা চাইলে স্ট্যান্ডার্ড উইনডোজ ১০ ও ডাউনলোড করে নিতে পারে। কিন্তু তখন ব্যাটারি ব্যাকআপ বা পারফর্ম্যান্সের রেট অনেকটাই কমে যাবে।
এতে সামসাঙের কিছু অ্যাপও আছে, যে গুলি অন্যান্য গ্যালাক্সি ডিভাইসের সঙ্গে চলবে। যেমন স্যামসাং ফ্ল। এই অ্যাপটির সাহায্যে যে কোনও গ্যালাক্সি ফোনে খুব সহজেই যে কোনও ফাইল ট্রান্সফার করা যাবে। এর দাম শুরু হচ্ছে ১০০০ ডলার থেকে। এর মধ্যে কিবোর্ড আর স্তাইলাসটিও ধরা আছে। দামটি অন্য মডেলগুলির তুলনায় একটু বেশিই বটে, কিন্তু গুণাবলি অনুযায়ী এর দাম একেবারেই যথার্থ। একটু স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক ২-র মডেলগুলি ২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে ATT.com, Microsoft.com এবং Samsung.com ওয়েবসাইটগুলিতে। দিওয়ালি বা ভাইফোঁটায় যা হতে পারে সেরা উপহার।




















