class="post-template-default single single-post postid-12100 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ঠগস অব হিন্দোস্তান দর্শকদের বিচারে ‘জিরো’ পেল?

ঠগস অব হিন্দোস্তানপ্রথমবার বড়পর্দায় এক সঙ্গে অমিতাভ বচ্চন এবং আমির খান। সৌজন্যে ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’। বহু আশা জাগিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। দেশ জুড়ে মোট সাত হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পাওয়া ছবিটি আদৌ অমিতাভ-আমির দ্বৈরথ কি দেখাতে পারল?

সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় উল্লাস কম, বরং সমালোচনার ধারই বেশি। বেশিরভাগ দর্শক ছবিটি দেখে নাকি হতাশ হয়েছেন। কারও মনে হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে আমির খানের সবচেয়ে দুর্বল ছবি। আবার কেউ বলছেন, ট্রেলার দেখেই বোঝা গিয়েছিল ছবিটি একেবারেই ভাল হবে না। রিলিজের পর তারই প্রমাণ পাওয়া গেল।

আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত বহু প্রতীক্ষিত এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিজয়কৃষ্ণ আচার্য।ইংরেজ ভারতে এসেছিল ব্যবসা করতে। কিন্তু সেই ফাঁকে রাজত্ব শুরু করেছিল। যা চলেছিল পরবর্তী ২০০ বছর। ইংরেজ রাজত্ব মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। গল্প অনুযায়ী,তেমনই একজন আজাদ। এই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। আর তাঁকে শায়েস্তা করতেই ফিরাঙ্গি মল্লাহকে নিয়ে আসে ইংরেজরা। ফিরাঙ্গির চরিত্রে রয়েছেন আমির খান।

রিলিজের পর সোশ্যাল ওয়ালে আমিরকে নিয়ে বিভিন্ন মিমও শেয়ার হচ্ছে। তাঁর ‘পিকে’ ছবির ডায়লগ ছিল, ‘হমকো ঘর জানা হ্যায় ভগবান…।’ সেই ছবিটি ব্যবহার করে অনেকে বলছেন, ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’ দেখতে দেখতে নাকি দর্শকের ওই অবস্থা হয়েছিল। কেউ বা অমিতাভের মিম ব্যবহার করছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সেটে অমিতাভ বলছেন, ‘আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’ অর্থাত্ দুই মহারথীরই সমালোচনা শুরু হয়েছে।

রিলিজের আগে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর সঙ্গে এই ছবির চরিত্রদের লুকের বহু মিল নিয়ে নয়া চর্চা শুরু হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর বিখ্যাত চরিত্র ‘জ্যাক স্প্যারো’। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনি ডেপ। ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’-এ আমিরের লুক দেখে অনেকে বলেছিলেন, তিনিই নাকি এই ছবির জ্যাক স্প্যারো! জনি এবং আমিরের ছবি পাশাপাশি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ লিখেছিলেন, ‘বিগ বাজেট জ্যাক স্প্যারো’ এবং ‘গরিবের জ্যাক স্প্যারো’। আবার কারও মত ছিল, এই ছবিটা নিয়ে অনেক উৎসাহ ছিল। কিন্তু যে কোনও শিশুও এই দুটো ছবির মিল বুঝতে পারবে। ফলে আমিরের ছবি নিয়ে আর কোনও আগ্রহ নেই বলেও মনে করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশ।

যদিও দর্শকদের রিভিউতে এই মিলের প্রসঙ্গ এখনও পর্যন্ত আসেনি। বরং আমিরের সমালোচনায় চলে এসেছে শাহরুখ খানের নাম। কী ভাবে? কিং খানের আসন্ন সিনেমার নাম ‘জিরো’। কেউ কেউ সেই ছবির পোস্টার ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘আসলে ঠগস অব হিন্দোস্তান-এর রেটিং হল জিরো।’ এ যেন প্রকারান্তরে বলি বাদশা ছবিরই প্রচার হল বলে মনে করছেন দর্শকদের একটা বড় অংশ।

সূত্রের খবর, ১৮৩৯-এ প্রকাশিত ফিলিপ ম্যাডোসের লেখা বই ‘কনফেশনস্ অফ আ থাগ’ অবলম্বনে লেখা হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। আমিরের চরিত্রটি অ্যান্টাগনিস্ট। এ ছাড়াও ক্যাটরিনা কইফ, ফতিমা সানা শেখের মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ছবি। আদৌ এ ছবি সমালোচনার যোগ্য, নাকি ভাল লাগারও কোনও উপাদান রয়েছে, তা জানার জন্য কি একবার দেখবেন ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!