টালিউডের জিৎ ঢালিউডের শাকিব খানের সঙ্গে কয়েকবারই টেক্কা দিয়েছেন। কিন্তু কখনো সফল হতে পারেননি ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই নায়ক। শাকিবের সঙ্গে যতবার জিতের ছবি মুক্তি পেয়েছে, ব্যবসায়িক সফলতায় এগিয়ে ছিলেন শাকিব খান। এবার প্রথম কলকাতায় বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক সালমান খানের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের চলচ্চিত্র। সঙ্গে আছে জিতের ছবি। ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া এই তিন নায়কের টেক্কায় কে বিজয়ী হন, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন।
ঈদ উপলক্ষে ভারতসহ বাইরের দেশগুলোতে আজ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সালমান খানের নতুন ছবি ‘রেস থ্রি’। একই দিনে ভারতের কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে কলকাতায় জনপ্রিয় নায়ক জিতের ‘সুলতান’ আর বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের ‘ভাইজান এলো রে’।
সালমান খান অভিনীত বড় বাজেটের ছবি ‘রেস থ্রি’তে আরও অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর, জ্যাকুলিন ফারনান্দেজ, ববি দেওল, ডেইজি শাহ, সাকিব সালিম, ফ্রেদি দারুওয়ালা। রাজা চন্দ পরিচালিত ও জিত অভিনীত ‘সুলতান’ ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার, মুকুল দেব, বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিম ও তাসকিন রহমান। জয়দীপ মুখার্জি পরিচালিত ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে বাংলাদেশের শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার শুভশ্রী ও পায়েল সরকার। এই ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন রজতাভ দত্ত, দীপা খন্দকার, মনিরা মিঠু, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু প্রমুখ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই মনে করছেন, শাকিব তাঁর স্টাইল আর অভিনয় দক্ষতায় এরই মধ্যে কলকাতা জয় করেছেন। কলকাতার নায়ক-নায়িকা এবং জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পীদের অনেকেই এখন বাংলাদেশের শাকিবকে মনে করছেন। তাঁদের আশাবাদ, ‘ভাইজান এলো রে’ ছবি দিয়েও শাকিব খান বাজিমাত করবেন।
যে শাকিবকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই শাকিব খান কী ভাবছেন? জানা যায়, তিনি এখন কলকাতায় আছেন। সেখানে রাজীব বিশ্বাসের ‘মাস্ক’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। এরই ফাঁকে ‘ভাইজান এলো রে’ ছবির খোঁজখবর রাখছেন। সালমান খান ও জিতের সঙ্গে কেমন টেক্কা হবে? বিনয়ের সঙ্গে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান শাকিব খান। বললেন, ‘ছবি নিয়ে আমি কখনো কোনো প্রতিযোগিতায় নামিনি। সব সময় চেষ্টা করি পরিচালকের নির্দেশ মেনে অভিনয় করতে। যে পরিচালকের গল্পে কাজ করি, চেষ্টা থাকে গল্পের মতো হয়ে ওঠার। আমরা সবাই যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে একটি ভালো ছবির অংশ হওয়ার চেষ্টা করে গেছি। দর্শকের পছন্দ হলেই পরিশ্রম সার্থক হবে।’
শাকিব আরও বলেন, ‘জিৎ আমার ভালো বন্ধু। দুই দেশের ছবি নিয়ে এমনিতেই আমাদের ভাবনা-চিন্তার আদান-প্রদান হয়। বন্ধুর সঙ্গে তো টেক্কা দেওয়ার ব্যাপার নেই। সবাই জানেন, সালমান খান বলিউডের বড় তারকা, তাঁর বিশাল ফ্যান গ্রুপ আছে। তিনটি ছবিই ভালো চলুক, সেটা আমি চাই। আমি মোটেও বিচলিত নই। আমি মনে করি, ছবি ভালো হলে তা দেখতে সবাই প্রেক্ষাগৃহে যাবেন।’
‘ভাইজান এলো রে’ ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজের কর্ণধার অশোক ধানুকার মতে, ‘সালমান খানের ছবির সঙ্গে তুলনার কিছু নেই। দর্শক তাঁর ছবি দেখবেই। তবে কলকাতার জিতের “সুলতান” ছবির সঙ্গে শাকিব খানের “ভাইজান এলো রে” টেক্কা দিতে চাইবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে।’
জানা গেছে, ‘সুলতান’ ছবিটি প্রায় পৌনে দুই শ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। অন্যদিকে শাকিব খানের ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে।