২০১৭-র ডিসেম্বর মাসে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন। মা হওয়ার সিদ্ধান্ত। অবিবাহিত শ্রেয়া সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার ইচ্ছের কথা প্রথম শেয়ার করেন বাবার সঙ্গে। বাবা অর্থাত্ সাধন পাণ্ডে। তাঁর অবশ্য একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রীও।
যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বাবা নাকি শ্রেয়ার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। মেয়ের সিদ্ধান্তে পূর্ণ সম্মতি দিয়েছিলেন তিনি। সেই সিদ্ধান্তের ফল হল ‘আদর’। শ্রেয়ার মেয়ে। গত ৩০ অগস্ট সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন শ্রেয়া।
মু্ম্বইয়ে চিকিত্সক যতীশ শ-এর কাছে আদরের জন্ম। শাহরুখ খানের ছোট ছেলে আব্রাম বা কর্ণ জোহরের যমজ সন্তান যশ এবং রুহির জন্মের সময়ও চিকিত্সার দায়িত্বে ছিলেন যতীন। শ্রেয়া এই মুহূর্তে আদরকে নিয়ে মুম্বইতে রয়েছেন। সেখান থেকে ফোনে বললেন, ‘‘পুরো প্রসেসটার মধ্যে যতীন প্রায় বাবা-মায়ের ভূমিকা নিয়েছিলেন। বাবা প্রথম থেকেই জানতেন। সারোগেসি কী, সেটা বোঝাতেও হয়নি। সাপোর্ট করেছিলেন পুরোপুরি। তবে এটা আমার আর বাবার সিক্রেট ছিল। মাকে বলেছি অনেক পরে। মাকে বোঝাতে সময় লেগেছিল।’’ তবে নাতনিকে দেখার পর বাবা-মা দু’জনেই খুব খুশি বলে জানালেন শ্রেয়া।
অন্য দিকে সারোগেসির মাধ্যমে মেয়ের মা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে সাধনবাবু বলেন, ‘‘এখন সমাজ বদলে যাচ্ছে। কেউ যদি সিঙ্গল মাদার হতে চায় তাতে আপত্তি কোথায়? প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা রয়েছে। কে, কী ভাবে তার জীবন এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তা তার ওপরই ছেড়ে দিতে হয়। বিয়ের পরেও তো অনেক রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শ্রেয়া সিঙ্গল মাদার হওয়ায় আর আদর-কে পেয়ে আমরা খুশি।”
সিঙ্গল মাদার হলেও কিন্তু বিয়ের বিপক্ষে নন শ্রেয়া। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বিয়ের বিপক্ষে নই। কিন্তু সোসাইটির জন্য যে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হয়, সেটাতে বিশ্বাসী নই। যাকে ভালবাসি না, তাকে বিয়ে করতে পারব না। কালকেই যদি প্রেমে পড়ি, আর মনে করি এটাই বিয়ে করার সঠিক সময়, আমি বিয়ে করব। আর হ্যাঁ, মেয়ের কাছে কোনও দিন কিছু লুকবো না…।’’
ফোন রেখেই নিশ্চয় আদরকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন শ্রেয়া। ব্যস্ত হয়ে পড়লেন আগামীর স্বপ্ন বুনতে…।