class="post-template-default single single-post postid-2561 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

হার্ট অ্যাটাক এড়াতে চান? আজ থেকেই মেনে চলুন এ সব

বিশ্ব জুড়ে আজ পালিত হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে।’ তবে শুধু আজ বলে নয়, হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে কিন্তু সারা বছরই বেশ কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলা উচিত। যার অনেকগুলো সম্পর্কেই আমরা সচেতন নই। অথচ কার্ডিয়াক অ্যাটাক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে এ সব নিয়মের জুড়ি নেই। জানেন সে সব কী কী?

কম বয়স থেকেই হার্টের যত্ন নেওয়া অভ্যাস করুন। বাড়িতে শিশু থাকলে তাকেও এ সম্পর্কে সচেতন করুন। হৃদযন্ত্রে জটিলতা না থাকলেও প্রতি তিন মাসে চেক আপ করান বাড়ির সব সদস্যের হার্ট। শৈশব থেকেই হার্টের যত্নের গুরুত্ব বুঝিয়ে শিশুকে এ সম্পর্কে সচেতন করে রাখুন।
আমেরিকান হার্ট রিসার্চ অ্যাসোশিয়েশন বলছে, জোরে হাসুন। প্রাণ খুলে হাসলে হার্টের ভাল্‌ব ভাল থাকে। জোর করে হাসি নয়, মন ভাল থাকার কাজে যুক্ত থেকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হাসুন।
হার্ট ভাল রাখতে আজই ছাড়ুন সিগারেট। প্যাসিভ স্মোকিংও সমান ক্ষতিকর। হার্টের সিংহ ভাগ ক্ষতি হয় স্রেফ নিকোটিন থেকে। তাই মনের জোর এনে আজই ছাড়ুন তামাক।
হার্ট ভাল রাখতে পাতে বাড়ান সবুজ শাক-সব্জি। তেল, মাখনও নিয়ন্ত্রণ করুন। রেড মিট থেকে চাইলে চর্বি বাদ দিয়ে কিনুন। তা-ও সপ্তাহে এক দিন দু’টুকরোর বেশি নয়। আধুনিক গবেষণা বলছে, কার্বোহাইড্রেটও হার্টের জন্য ভাল নয়। তাই লো কার্বস ডায়েট বজায় রাখুন।
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ বেরনো সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি দিন গড়ে যে পরিমাণ নুন খান, তা থেকে অর্ধেক চামচ নুন কমিয়ে দেখুন! হার্টের অনেক অসুখ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে।

হার্টের পক্ষে উপকারী ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন পেতে রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন আমন্ড ও কাজুবাদাম। কার্ডিওভাস্কুলারের নানা অসুখ রুখে দিতে পারবে এই খাবার।
সময়ে প্রাতরাশ সারুন। আমরা অনেকেই প্রাতরাশের জন্য আলাদা করে সময় দিই না। মাঝেমধ্যে প্রাতরাশ না করেই সরাসরি দুপুরের খাবার খাই। এই অভ্যাস হার্টের জন্য একেবারে ভাল নয়। বরং ভারী প্রাতরাশ করুন। দুপুর ও রাতের খাবার রাখুন হালকা।
ডার্ক চকোলেট রাখুন ডায়েটে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাবোনেট হার্টের পেশীর জন্য খুব উপকারী। তবে দিনে তিন-চার টুকরোর বেশি খাবেন না।
জাঙ্ক ফুড ও ঠান্ডা পানীয় একেবারে নয়। হার্টের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকারক এই ধরনের খাবার। এই খাবারগুলির ফ্যাট, অ্যাডেড সুগার ও সংরক্ষণের উপযোগী করে তোলার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
শারীরিক কসরত করুন। কিছু না পারলে জোরে হাঁটুন অন্তত আধ ঘণ্টা। শরীরের সঙ্গে মনেরও যত্ন নিন। মানসিক চাপ কমিয়ে সুস্থ থাকুন। প্রিয় জনের সঙ্গে হাসি-আনন্দ-খুনসুটিতে ভরিয়ে রাখুন জীবন। ব্যক্তিগত ভাবে সুখী মানুষের হার্টের অবস্থা তুলনামূলক ভাবে ভাল হয় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!