class="post-template-default single single-post postid-12510 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

আয়কর বিবরণীতে সোনার পরিমাণ দেখানোর পন্থা

আয়কর রিটার্নে আয়-ব্যয় উল্লেখ করার পাশাপাশি সম্পদ ও দায়ের বিবরণীও আলাদাভাবে জমা দিতে হয়। তবে এই বিবরণী সবার জন্য বাধ্যতামূলক না।

সাধারণত যাদের মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকার উপরে কেবল তাদেরকেই সম্পদ ও দায় বিবরণী দাখিল করতে হয়। কেউ চাইলে স্ব-প্রণোদিত হয়ে জমা দিতে পারেন।

সোনা বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহে থাকতে পারে। যেমন- নিজে কেনা বা প্রিয়জনদের কাছ থেকে উপহার পাওয়া।

যে পন্থাতেই সোনার অধিকারী হোন না কেনো রিটার্ন বা আয়কর বিবরণীতে টাকার পরিমাণ কী উল্লেখ করবেন তা নিয়ে একটা জটিলতা দেখা দেয়।

সোনা ক্রয়

ক্রয়কৃত সোনা দেখানো সহজ। সরাসরি যে পরিমাণ টাকা দিয়ে কিনেছেন তা উল্লেখ করতে হয়।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যে পরিমাণ সোনা কিনেছেন তার ক্রয়মূল্য এবং গত রিটার্ন দাখিল করার সময় যে মূল্য দেখিয়েছিলেন তা যোগ করে উল্লেখ করতে হয়।

তবে বিক্রি বা কাউকে উপহার দিয়ে থাকলে তা বাদ দিয়ে যেটুকু আপনার কাছে আছে কেবল সেটুকুর মূল্যই লিখতে হয়।

উপহার পাওয়া সোনার মূল্য কত দেখাবেন?

আপনি যেটা কিনেছেন সেটা খুব সহজেই রিটার্নে মূল্যটা লিখে দিয়েছেন। তবে উপহার পাওয়ার ক্ষেত্রে আসল দাম নাও জানতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয়, যেটুকু উপহার পেয়েছেন তার পরিমাণ উল্লেখ করে টাকার ঘর ফাঁকা রাখা। এবং মন্তব্য লিখে দিতে পারেন, উপহার হিসেবে পাওয়া।

যদি আগের বছরগুলোতেও এমন উপহার পাওয়া সোনা থাকে তাহলে সবটুকুর পরিমাণ উল্লেখ করে টাকার ঘর ফাঁকা রেখে দিলেই হয়।

তবে উপহার পাওয়া সোনার মূল্য উল্লেখ করতে চাইলে আনুমানিক একটা মূল্য ধরে লিখে দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে আপনার নীট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর এভাবে বেড়ে যদি ২.২৫ কোটি টাকা অতিক্রম করে তাহলে একটি নির্দিষ্ট হারে সারচার্জ দিতে হবে।

এজন্য উপহার পাওয়া সোনার প্রকৃত মূল্য জানা না থাকলে না লেখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

অনেক সময়, সোনার পরিমাণ যা আছে তার চেয়ে বাড়িয়ে দেখানোর কথা বলা হয়। দেখা যায় একজন করদাতার পরিবারে হয়ত ১০ ভরি সোনা আছে। তবে রিটার্নে দেখিয়েছেন ৫০ ভরি; যেটার আসলে অস্তিত্ব নেই।

বেশি সোনা দেখালে কোনো লাভ আছে কি?

লাভের থেকে ঝামেলাই বেশি। কারণ যেটা নেই তা দিলে প্রশ্ন উঠতে পারে।

ধরা যাক, আপনি ৪৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেন। স্বামী-স্ত্রী মিলে দুজনের সংসার। এই টাকা পেয়ে সংসার চালিয়ে কীভাবে আপনি পঞ্চাশ ভরি সোনার মালিক হলেন?

এই প্রশ্ন আয়কর কর্মকর্তা আপনাকে করতেই পারে। এর সঠিক উত্তর না দিতে পারলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

তবে কেউ কেউ বিয়েতে অনেক সোনা উপহার পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যে বছর আপনি বিয়ে করে সোনা পেয়েছেন সেই বছরটা উল্লেখ করে দেবেন।

এক্ষেত্রেও মূল্য জানা না থাকলে টাকার ঘর ফাঁকা রাখতে পারেন।

রিটার্নে আপনাকে একটি প্রতিপাদন দিতে হয়। যেখানে লেখা থাকে, রিটার্ন এবং বিবরণী ও সংযুক্ত প্রমাণাদিতে প্রদত্ত তথ্য আমার বিশ্বাস এবং জানা মতে সঠিক এবং সম্পূর্ণ।

এর নিচেই আপনাকে স্বাক্ষর করতে হয়।

সহজ কথা হল, আপনার কাছে যা আছে তা-ই রিটার্নে দাখিল করবেন। এর বেশি বা কম করতে গেলেই আপনি আইনের ঝামেলায় পড়তে পারেন।

লেখক: জসীমউদ্দিন রাসেল। পেশা: চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!