এ কথা ঠিক যে, যাদের শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেধেছে, তাদের মিষ্টি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিন্তু, তা না হয়ে থাকলে, মিষ্টি খেতে বিশেষ কোনও বাধা নেই। এমন কথা বলছে চিকিৎসাশাস্ত্রই।
মিষ্টি খেতে ভালবাসেন? তা হলে নির্ঘাত শুনতে হয় এমন কথা যে, বেশি মিষ্টি খেলেই হবে ডায়াবেটিস।
এ কথা ঠিক যে, যাদের শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেধেছে, তাদের মিষ্টি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিন্তু, তা না হয়ে থাকলে, মিষ্টি খেতে বিশেষ কোনও বাধা নেই। এমন কথা বলছে চিকিৎসাশাস্ত্রই।
- সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে মিষ্টি ও ডায়াবেটিস-এর এই অম্লমধুর সম্পর্ক নিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এই তথ্য সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে এটা সিদ্ধান্ত নিতে যে, তিনি আদৌ মিষ্টি খাবেন নাকি খাবেন না।
‘সুগার’ আসলে কী?
সুগার যে শুধুমাত্র মিষ্টি, চিনি বা চকোলেট জাতীয় খাবারেই থাকে তা নয়। ফল, সবজি, দুগ্ধ জাতীয় খাবারেও রয়েছে মিষ্টি। এ ছাড়া নানা পানীয় থেকেও শরীরে ঢোকে সুগার। বর্তমান জীবনে এ সবের সঙ্গে যোগ হয়েছে জাঙ্ক-ফুড।
এবার জেনে নেওয়া যাক ‘ডায়াবেটিস’ আসলে কী?
ডায়াবেটিস হয় দু’ধরনের— টাইপ ১ ও টাইপ ২। সহজ ভাষায়, শরীরের ইনসুলিন কোষগুলি অকেজো হয়ে গেলেই হয় টাইপ ১ ডায়াবেটিস। এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয় যখন অগ্ন্যাশয় (প্যাংক্রিয়াস) ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না।
অর্থাৎ, কোনও ডায়াবেটিসই মিষ্টি খাওয়ার ফলে হয় না।
কিন্তু, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য পরোক্ষভাবে অবশ্যই দায় করা যায় মিষ্টিকে। কারণ, জাঙ্ক-ফুড বা ঠান্ডা পানীয় বেশি খেলে মানুষের ওজন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে খুব সহজেই সে আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে।
এবার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তা হলে ডায়াবেটিস হওয়ার পরেও কি মিষ্টি খাওয়া সম্ভব?
• একেবারেই না। তবে, তা যেন হয় পরিমিত। এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
• সঙ্গে নিয়মিত এক্সারসাইজ, এবং ব্যালেন্সড ডায়েট।
• নজর রাখতে হবে, কোনও ভাবেই যেন ওজন না বেড়ে যায়।