class="post-template-default single single-post postid-43093 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বন্ধের তালিকায় ১ লাখ ২৫ হাজার মোবাইল ফোন

নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার প্রথম তিন দিনে (১-৩ অক্টোবর) তিন লাখ ৪৯ হাজার ৬৫২টি মোবাইল ফোন এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) সিস্টেমে অ্যাকটিভেট (সচল) হয়েছে। এরমধ্যে অবৈধ হওয়ায় বন্ধের তালিকায় পড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার মোবাইল ফোন। তালিকায় থাকা মোবাইল ফোনে এরইমধ্যে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে বলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায় ১ অক্টোবর এনইআইআর সিস্টেমে সচল হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫টি ফোন। এরমধ্যে বৈধ ৭৮ হাজার ৮৭৬টি ও অবৈধ ৪৪ হাজার ১৯৯টি। ২ অক্টোবর সিস্টেমে সক্রিয় হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯টি মোবাইল ফোন। এরমধ্যে বৈধ ৬৬ হাজার ৩২৬টি, অবৈধ ৩৭ হাজার ৬৬৩টি।

৩ অক্টোবর অ্যাকটিভেট হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫৮৮টি ফোন। এর মধ্যে বৈধ ৭৯ হাজার ৫৮৯টি, অবৈধ ৪২ হাজার ৯৯৯টি মোবাইল ফোন।

বৈধ হওয়ায় ২ লাখ ২৪ হাজার মোবাইল ফোন চালু আছে। অবৈধ চিহ্নিত ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১টি মোবাইল ফোন চালু থাকলেও সেগুলোর গ্রাহককে ফোনটি অবৈধ চিহ্নিত করে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এসব ফোন অপারেটর ধরে ধরে বন্ধ করা হবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে। কিছু ফোন এরইমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, `যেসব মোবাইল বৈধ, সেসবে নিবন্ধিত মেসেজ চলে গেছে। তাদের চিন্তার কারণ নেই। যাদের মোবাইল সেটটি অবৈধ বলে মেসেজ গেছে সেগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

যারা বন্ধের মেসেজ পেয়েছেন তারা যে দোকান থেকে ফোনটি কিনেছেন সেই দোকানে ফেরত দিয়ে বদলে নিতে পারেন বা টাকা ফেরত নিতে পারেন। বিদেশ থেকে আনা ফোনের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম বলেন, ‘বিদেশ থেকে আনা কোনও ফোন যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে ফোনটির কাগজপত্র জমা দিলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যথার্থতা পেলে ফোন চালু করে দেবো। যারা মোবাইল ফোন নিয়ে আসবেন তারা (www.neir.btrc.gov.bd) সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।’

তিনি জানান, বিটিআরসি কর্মকর্তারা ঢাকায় সশরীরে গিয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের বলেছেন, নোটিসও দিচ্ছেন। ঢাকার বাইরেও সবাইকে জানানো হচ্ছে। মোবাইল ফোনে নাগরিকদের জানানো হচ্ছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সব ফোন ব্যবহারকারী এই মেসেজ পেয়ে যাবেন।

বিটিআরসির একটি সূত্র জানায়, অবৈধ মেসেজ যাওয়া ফোন যদি কোনও মোবাইল বিক্রেতা ফেরত না নেন, বদলে না দেন বা টাকা ফেরত না দেন তবে বিটিআরসির কল সেন্টারে (১০০ নম্বরে) ফোন দিয়ে জানাতে পারেন। বিটিআরসি এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গেছে।

বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোন নিবন্ধন করা যাবে যেভাবে

বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন আনা হলে (শুল্কমুক্তভাবে ২টি, শুল্ক দিয়ে ৬টি) পাসপোর্ট, ভিসার কপি, পণ্য ক্রয়ের রশিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজ ওয়েবসাইটে (www.neir.btrc.gov.bd) জমা দিয়ে ফোনটি নিবন্ধন করা যাবে। ফোন উপহার পেলে তার পক্ষেও প্রমাণপত্র থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!