class="post-template-default single single-post postid-1886 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বাড়িতে সাইক্লিন

নানা ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে সাইকেল চালানো একটি আনন্দদায়ক ও উপকারী ব্যায়াম। নিয়মিত সাইক্লিং রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা ও চর্বির মাত্রা কমায়। গবেষণা বলছে, সপ্তাহে ৩৫ মিনিট সাইকেল চালালে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। ২০ কিলোমিটার গতিতে সাইকেল চালালে ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। এ ছাড়া নিয়মিত সাইকেল চালালে পা ও কোমরের পেশি এবং সন্ধির ব্যথা কমে, পেশি ও সন্ধি সুগঠিত, সবল হয়। ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্রে কর্মক্ষমতাও বাড়ে। এ ছাড়া নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্তে এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ে। ফলে মন ফুরফুরে থাকে, মানসিক চাপ কমে।

শহরের রাস্তায় সাইকেল চালানো প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে আজকাল অনেকেই বাড়িতে সাইক্লিং করার যন্ত্র কিনে নিচ্ছেন। অনেকে জিমে গিয়েও সাইক্লিং করেন। এটিও প্রায় সমান উপকার দেবে। যাঁরা নতুন সাইক্লিং মেশিন কিনেছেন বা কেনার কথা ভাবছেন তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ।

যন্ত্রটির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। সাইকেলের পাশে সোজা হয়ে দাঁড়ালে আসনের উচ্চতা আপনার নিতম্বের সমান হওয়া উচিত। যখন আপনি আসনে বসবেন তখন আপনার পা দুটো প্যাডেলের সঙ্গে ২০-৩০ ডিগ্রি কোণে থাকবে। এবার আসন থেকে হ্যান্ডেলের দূরত্ব ঠিক করে নিন এভাবে যেন হ্যান্ডেল বারের ওপর আপনার আঙুলগুলো মাত্র পৌঁছে ও আপনার পুরো হাত সিট ও হ্যান্ডেলের মাঝে জায়গা হয়। হ্যান্ডেলবারের উচ্চতা যত কম হবে তত আপনার কোমরের ওপর চাপ বাড়বে। তাই কোমর ব্যথা হলে উচ্চতা একটু বাড়িয়ে নিলেই ভালো।

রাস্তায় চালানো সাইকেলের মতো ঘরের সাইকেলে গিয়ার থাকে না। বরং একটা নব থাকে, যা গতি ও রেসিসট্যান্সকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিজের জন্য আরামদায়ক একটি মাত্রা নির্দিষ্ট করুন। যদি দেখেন পা ভারী হয়ে আসছে বা ফুসফুসের ওপর বেশি চাপ পড়ছে, তবে নব ঘুরিয়ে গতি কমিয়ে নিতে দ্বিধা করবেন না। ধীরে ধীরে গতি বাড়ানো যাবে।

সাইক্লিং করার সময় আপনাকে একটু ঝুঁকতে হবে। কিন্তু পিঠ ও শিরদাঁড়া ভাঁজ না করে এক সমান্তরালে রাখার চেষ্টা করবেন।

সাইক্লিং শুরুর ৯০ মিনিট আগে হালকা কিছু স্ন্যাক্স খেয়ে নেওয়া ভালো। ব্যায়ামের আগে পরে ও মাঝে প্রয়োজনে পানি পান করা যাবে। কেননা, এতে প্রচুর ঘাম ঝরে।

আরামদায়ক ও ঘাম শুষে নেয় এমন পোশাক পরুন, ট্র্যাকস্যুট পরা ভালো। হালকা সুরের গান ছেড়ে দিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!