class="post-template-default single single-post postid-13764 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বছরে মারা যাবে ৭ লক্ষ মানুষ শুধু ব্রয়লার মুরগী খাওয়ার কারণে

ব্রয়লার মুরগী কমবেশি আমাদের সকলেরই পছন্দ। চাহিদাও বাড়ছে দিনদিন। কিন্তু আপ্ন কি জানেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ব্রয়লার মুরগীতে এবং দানা বাঁধে ক্যান্সার শরীরে। আর সেই সঙ্গে আরো ভয়ানক ব্যাপার হলো যে, পোলট্রির মুরগি খেলে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে আর কাজ করবে না। তথ্য উঠে এসেছে একাধিক গবেষণায় এসব।

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা মাত্র পাঁচ সপ্তাহেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় এটাই দেখা যায়! মাত্র এক কেজি আটশো গ্রাম ম্যাশ খাওয়ালেই এক কেজির নিট মাংস! দুই কেজি ওজনের মুরগি জবাইয়ের আগে ম্যাশ খাচ্ছে মাত্র তিন কেজি ছয়শো গ্রাম! রহস্যটা কী? ম্যাশের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম। পুশ করে দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন। হু হু করে বাড়ছে ওজন। চড়চড় করে বড় হচ্ছে মুরগি।

এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কী ভয়ঙ্কর বিপদ কিন্তু সেটা কি আমরা জানি? সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, পোলট্রির মুরগি খেলে আমাদের শরীরে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না।

ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই। ছোটখাটো পেটের রোগ, গ্যাস, অম্বল, সর্দিকাশি, ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। ফলে রোগ সারাতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্য নিতে হবে ডাক্তারদের। আমাদের শরীরে যে অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক কুপ্রভাব পড়বে।

এমনকি মাত্রাতিরিক্ত ব্রয়লার মুরগি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।

ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় ব্রয়লার চিকেন খেলে। একাধিক গবেষণয়া দেখা গেছে প্রায় ৬৭ শতাংশ ব্রয়লার মুরগির শরীরে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া থাকে যা কোনও ভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। বাজার থেকে ব্রয়লার মুরগির মাংস কিনে কখনই বাকি খাবার বা সবজির সঙ্গে সেটি রাখবেন না। শুধু তাই নয়, যে ছুরি দিয়ে মাংসটা কাটবেন তা দিয়ে ওই সময় সবজি কাটবেন না। আর যে প্লেটে কাঁচা মাংসটা রাখবেন তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই অন্য কাজে লাগাবেন। যেমনটা আগেও বলেছি কাঁচা মাংসে অনেক সময়ই ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই নিয়মটা মানলে সেই জীবাণু বাকি খাবারে ছড়িয়ে যাওরা সুযোগ পায় না। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে।

কাঁচা মাংসে প্রচুর মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকে। আর দোকানে যেভাবে একাধিক মুরগিকে এক সঙ্গে রাখা হয় তাতে দু-পাঁচটার শরীরে সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রবেশ করে না যাওয়াটা কোনও অস্বাভাবিক নয়। আর এমনটা যে হয় না সে কথা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে কি? শুধু তাই নয়, যখন মুরগি কাটা হয় তখনও জীবিত মুরগির শরীর থেকে কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই জীবাণু যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আর রক্ষা নেই।

তবে দেশি মুরগিতে এমন কিছু ক্ষতিকারক জিনিস পাওয়া যায়নি। কারণ দেশি মুরগি একেবারে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বড়হয়। ফলে ব্রয়লার মুরগির মতো তাদের শরীরে কোনও কেমিকেলের উপস্থিতি যেমন পরিলক্ষিত হয় না। তেমনি দেশি মুরগি অনেকাংশেই ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়। ফলে তা থেকে আমাদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

এক রিপোর্টে জানা যায়, প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া কমে যাওয়ায় একটি গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে মানবসভ্যতা। যা বছরে ৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যার মধ্যে রয়েছে ২৩০০০ আমেরিকান, ইউরোপে ২৫০০০, ৬৩০০০ ভারতীয় শিশু। এদের মৃত্যুর পর আরও লক্ষাধিক অসুস্থ হয়ে পড়বে। তখন বাৎসরিক ২০ লক্ষ আমেরিকান অসুস্থ হয়ে স্বাস্থ্যসেবায় কোটি কোটি টাকা খরচ করবে। গার্ডিয়ানের ওই রিপোর্টে আরো পূর্বাভাস দেওয়া হয় যে ২০৫০ সালের মধ্যে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে বিশ্বে ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে এবং বছরে ১ কোটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। শেষ হবে সম্পদ আর দেশ হারাবে জাতীয় উৎপাদনশীলতা।

‘এভাবে মিমিকে অপমান করা শুভশ্রীর মোটেও ঠিক হয়নি’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!