সাধাসিধে ভাষায় বলতে গেলে শহরের লোকজন আসলে বাক্সে বাস করে। সুযোগের অভাব হোক আর দম্ভ, মাটিতে পা-ই পড়ে না কারো। অর্থাৎ মাটির স্পর্শ মেলে খুব কমই। তাই বলে প্রকৃতি থেকে যেন দূরে যেতে যেতে একেবারে হারিয়ে না যাই, এ জন্য আমাদের অনেকে ঘরেই গড়ে তুলতে চাই এক টুকরো সবুজ। কিন্তু ঘরের বাগানে আছে নানান ঝক্কি। গাছটা ঘরে বেড়ে ওঠার উপযোগী কিনা, সেটাই দেখতে হবে প্রথমে। এরপর আছে অল্প আলো আর অল্প মাটিতে টিকে যাওয়ার মতো কিনা। আর এসব বিচারে ঘরের বাগানের জন্য রয়েছে এমন ছয়টি ভেষজ, যেগুলো একদিকে বাড়াবে ঘরের শোভা, অন্যদিকে, সময়মতো কাজ করবে ওষুধেরও।
লেমনগ্রাস: ভাল গোড়া দেখে বাজার থেকে এক গোছা লেমনগ্রাস কিনে নিন। দেখে নিন গোড়াটা মজবুত কিনা। এরপর আগা কেটে পুঁতে দিন টবের মাটিতে। খেয়াল রাখুন, গোড়ার ২-৩ ইঞ্চি যেন পানিতে থাকে। পুরোটা যেন আবার পানিতে ডুবে না যায় খেয়াল রাখুন সেদিকেও। কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন শেকড় গজাবে।
পুদিনা: পুদিনার সুবিধা হলো ছোট পটেও এটি চাষ করা যায়। উপযুক্ত মাটিতে বীজ ছড়িয়ে দিলেই হলো। তবে শর্ত হলো সূর্যের আলোর পাশে এবং ছায়া দুটোর মাঝেই রাখতে হবে টব।
কারি পাতা: চমৎকার ঘ্রাণযুক্ত এ পাতা ঘরোয়া মালি হিসেবে আপনার স্ট্যাটাস বাড়িয়ে দেবে। ছোট চারা রোপণের পর বেড়ে ওঠার সহায়ক হিসেবে একটি কাঠি পুঁতে দিলেই হলো। প্রতিদিন পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আর পানি, এই দুই-ই যথেষ্ট।
ধনে পাতা: বাসায় ট্রেতে ধনে পাতা চাষ করা যায় সহজেই। ছোট ছোট পটে রাখা মাটিতে বীজ ছড়িয়ে দিলেও গজিয়ে উঠবে চমৎকার সবুজ পাতা। অবশ্য ধনে পাতার গতি খানিকটা মন্থর। পুরোপুরি বেড়ে উঠতে সময় নেয় ২-৩ সপ্তাহ। বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াঢাকা জায়গা দরকার হয় এর জন্য।
রোজমেরি: রোজমেরির সুবিধা হলো এতে নিয়মিত পানি দিতে হয় না। অ্যাপার্টমেন্টের জন্য খাড়াখাড়ি বেড়ে ওঠে এমন প্রজাতি বেছে নেয়াই উত্তম।
তুলসি: তুলসির অনেকগুলো জাত আছে। এর মধ্যে কয়েকটি আছে রান্নায় ব্যবহার করা যায়। বিদেশি চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শকদের কাছে এটা অতি চেনা একটি হার্বাল। তুলসি দ্রুত বেড়ে ওঠে জানালার পাশে। তবে তার আগে মাটির আর্দ্রতা নিশ্চিত করাটা জরুরি।