মধুর গুণের কথা এখন প্রায় সবারই জানা। তবে এর কিছু অন্য গুণও আছে যার কথা হয়তো অনেকেই আগে শোনেননি।
১. পুড়ে গেলে পোড়া জায়গায় মেহেদি পাতা বেটে মধু মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
২. এক গ্লাস সামান্য গরম পানিতে এক চামচ লেবু ও এক চামচ আদার রস এবং দুই চামচ মধু মিশিয়ে খান। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার এটিই সবচেয়ে প্রচলিত হার্বাল উপায়।
৩. প্রতিদিন সকালে ২০ গ্রাম মধু ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে ৪-৫ মাস খেলে চুলকানি, ফুসকুড়ি এসব আর হবে না।
৪. ইনসমনিয়ার রোগীদের জন্যও মধু উপকারী। রাতে শোওয়ার আগে মধু সেবন করুন। ঘুম আসবেই।
৫. রক্তচাপ কমাতেও মধুর জুড়ি নেই। দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে খান। উচ্চরক্তচাপ সেরে যাবে।
৬. আদা বা তুলসীর রসের সঙ্গে মধু খেলে সেরে যাবে খুসখুসে খাশি।
৭. অল্প কিছুতেই যাদের বুক ধড়ফড় করে ওঠে তারা প্রতিদিন ২৫ গ্রাম ১০০ মিলিলিটার টমেটোর রসের সাথে মিশিয়ে খান।
৮. মুখ ও জিভের ঘা সারাতে মধু মেশানো পানি দিয়ে কুলি করুন। এ ছাড়া সোহাগা বা ফিটকিরি আগুনে খই করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে জিভে ঘষে ঘষে লাগালে লালা পড়তে শুরু করবে। এভাবে কয়েকবার লাগালে ঘা সেরে যাবে।
৯. হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে মেদ কমে শরীর ছিপছিপে হয়। প্রয়োজনে এতে দুতিন ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে পারেন।
১০. জলে মধু মিশিয়ে নিয়মিত কুলি করলে টনসিলের সমস্যা কেটে যাবে। তবে এক্ষেত্রে এ কাজটা দিনে দুই তিনবার করতে হবে।