Monday, December 23
Shadow

বাংলার আকাশে মার্কিন বায়ুসেনা, সীমান্ত মাত্র ১৫ মিনিট

আকাশপথে দূরত্বটা কমবেশি ১৫ থেকে ১৮ মিনিটের। চিন সীমান্ত থেকে ঠিক এই দূরত্বেই যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করছে ভারত ও আমেরিকার বায়ুসেনা। পশ্চিমবঙ্গের আকাশে টানা ১২ দিন ধরে ভারতীয় ও মার্কিন বিমানবাহিনীর দাপট নিঃসন্দেহে রক্তচাপ বাড়াতে চলেছে চিনের। পানাগড় এবং কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটির দিকে তাই এখন তীক্ষ্ণ নজর বেজিংয়ের।

৩ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে ভারত এবং আমেরিকার বায়ুসেনার যৌথ মহড়া ‘কোপ ইন্ডিয়া ২০১৯’। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মহড়ার জন্য যে দু’টি বিমানঘাঁটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাতে এই মহড়ার তাৎপর্যই বদলে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা এবং পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়— এই দুই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামছে মার্কিনএয়ার ফোর্স। দুই বায়ুসেনার মধ্যে সহযোগিতা ও সংযোগ বৃদ্ধি, পরস্পরের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশল শেখা এবং বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই মহড়া। অর্থাৎ, পুরোদস্তুর যুদ্ধের মহড়াই চলবে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে রকম টানাপড়েন চলছে, তার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মতো এলাকায় ভারত-মার্কিন যৌথ মহড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ভারত-চিন সামরিক টানাপড়েনের প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান ভূকৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য জাপানের কাদেনা বিমানঘাঁটি থেকে ১৫টি মার্কিন যুদ্ধবিমান পৌঁছচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। আর আসছে মার্কিন বায়ুসেনার ইলিনয় এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের ১৮২ডি এয়ারলিফ্ট উইং।

কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের অ্যাডভান্স ট্রেনিং হয়। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা কর্নেল সৌমিত্র রায়ের কথায়: ‘‘বায়ুসেনার পাইলটরা সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কৌশল কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটিতেই শেখেন। কলাইকুন্ডার প্রশিক্ষণে উতরে যাওয়ার পরেই একজন পাইলট ফাইটার স্কোয়াড্রনে জায়গা পান। তার আগে পান না।’’ এমন একটি বিমানঘাঁটি থেকে ভারত-মার্কিন যৌথ মহড়া নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!