আপনার বাচ্চা কি ডিম, চকলেট কিংবা সফট ড্রিঙ্কস পছন্দ করে? কিন্তু আপনি জানেন কি এমন পছন্দের খাবার থেকেই শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে?
নানা ধরনের খাবার থেকে শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে। তবে দুধ, ডিম, চকলেট, বাদাম, গমের তৈরি খাবার, কিছু সবজি, সফট ড্রিঙ্কস, কিছু মাছ সাধারণত অ্যালার্জির জন্য দায়ী।
বাচ্চাদের একটা খাবার থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে, আবার বিভিন্ন খাবার থেকেও হতে পারে। এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
খাবারে অ্যালার্জি হলে কি সমস্যা হয়
খাবারে অ্যালার্জি হলে দুই ধরনের সমস্যা হতে পারে। সমস্যা কখনো সামান্য হয়, কখনো তা গুরুতর আকার ধারণ করে। ত্বকে প্রথমে লাল লাল দানা বের হয়, সঙ্গে থাকে চুলকানি। হাত-পা ফুলে যেতে পারে চুলকানির কারণে। কখনো ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, বমিও হতে পারে। গুরুতর আকার ধারণ করলে হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। বিভিন্ন খাবারে যদি অ্যালার্জি থাকে, সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানো দরকার। বাচ্চা ছোট থাকতেই চিকিৎসা আরম্ভ না করলে বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়।
প্রতিরোধ
প্রতিরোধই হচ্ছে খাবারে অ্যালার্জি রোধ করার সব চাইতে ভালো উপায়। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে কোন ধরনের খাবার থেকে বাচ্চার সমস্যা হচ্ছে। কোন কোন খাবারে অ্যালার্জি আছে সেটা জানার সহজ উপায় হলো ওরাল ফুড চ্যালেঞ্জ টেস্ট। একটা করে সন্দেহজনক খাবার একদিন করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে এবং তিনদিন ধরে দেখতে হবে যে শরীরে কোনো অ্যালার্জিক প্রভাব হচ্ছে কি না। তবে যদি বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি থাকে, সেক্ষেত্রে অনেকসময় সেটা বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। তাই খাবারে অ্যালার্জি হচ্ছে এটা মনে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কিছুক্ষেত্রে চিকিৎসক অ্যালার্জি টেস্ট করতে দেন, এতে বোঝা যায় ঠিক কোন খাবার থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে আর তা কতটা গুরুতর।
চিকিৎসা
সবচেয়ে ভালো উপায় হলো অ্যালার্জি টেস্ট করানোর পর যেসব খাবারে অ্যালার্জি হচ্ছে তা এড়িয়ে চলা। চুলকানি, ত্বকে দানা বের হলে মুখে খাওয়ার আন্টি অ্যালার্জিক ওষুধ ভালো কাজ করে। এর সঙ্গে দানাগুলোতে লাগানোর জন্য ক্রিম ও মলম দেওয়া হয়। তবে সমস্যা বেশি হলে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।