মাছ খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, এটি অনেকেরই জানা। সম্প্রতি মাছের তেলের আরেকটি গুণের কথা জানা গেছে।
শিশুর অ্যালার্জি হওয়া প্রতিরোধ করতে মাছের তেল কার্যকর বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এ তথ্য জানা গেছে সুইডেনের একটি গবেষণায়।
গবেষকরা আট থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুর অ্যালার্জি নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। এতে তাদের স্যামনের মতো তৈলাক্ত মাছগুলো প্রতিদিন খেতে দেওয়া হয়।
গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার পর শিশুদের নাকে অ্যালার্জির প্রভাব কমে যায়। নাকের মিউকাস মেমব্রেন ফুলে যাওয়া বা এ ধরনের জটিলতাও তাদের কম হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর ক্লেভল্যান্ড ক্লিনিক চিলড্রেন্স-এর পেডিয়াট্রিক ডায়েটেশিয়ান ডায়ানা ডি ফেবিও জানান, নিয়মিত মাছ খাওয়া হলে নাকের জটিলতা কমে যায়। এটি ছাড়াও অন্য সব ধরনের খাবার অল্প করে খেলে একই ধরনের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ডি ফেবিও আরো বলেন, ‘আট বছর বয়সে মাছ খাওয়া উচ্চমানের খাবার খাওয়ার একটি লক্ষণ।’
যে শিশুরা খাবার বেছে খেতে অভ্যস্ত, তাদের ক্ষেত্রে ওমেগা-থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, পালং শাক ও সয়াবিনের মতো পুষ্টিকর খাবার এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যারা এসব খাবার খায় তাদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টি গ্রহণের সম্ভাবনা থাকে।
এ গবেষণায় ১,৫৯০ জন শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আট বছর বয়সে তাদের নাকে এ বিশেষ সমস্যাটি ছিল না। তাদের মধ্যে কাউকে খাদ্য তালিকায় তৈলাক্ত মাছ অন্তর্ভুক্ত করা হয় আবার কাউকে অন্য ধরনের মাছ দেওয়া হয়।
এতে দেখা যায়, তৈলাক্ত মাছ যে শিশুরা খেয়েছে, তাদের অ্যালার্জির আক্রমণের হার কম। এর কারণ হিসেবে তৈলাক্ত মাছের খাবারকে নির্ণয় করেন গবেষকরা।