শীত এসেছে? এই মশলাগুলো শীতকে তাড়িয়ে দিবে
শীত আসলেই আমাদের শরীরে দেখা দেয় না সমস্যা। যেমন- হ্যাঁচ্চো….খুকখুক কাশি এগুলোতো কমন লেগেই থাকে। তার সাথে আরও জটিল কিছু রোগের আক্রমণে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতকেও উপভোগ করা যায়। জানতে চান কী সেই উপায়? অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরানো সব আয়ুর্বেদ গ্রন্থে কিছু মশলার তালিকা আছে, যা শরীরকে শীতকালে রোগবালাই থেকে রক্ষা করে। নিচে মশলাগুলোর বিস্তারিত দেওয়া হল-
শীত এলে ভয় না পেয়ে মশলাগুলো খান
১. জাফরান:
জাফরান একটি অমূল্য প্রকৃতিক সম্পদ। শীতকালে একে কাজে লাগাতে পারলে, শরীর নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকবে না । পাফরানে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান, যেমন-মিনারেল এবং ভিটামিন শরীরকে ভিতর থেকে খুবই শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। যার জন্য শরীরে কোনও রোগই বাসা বাঁধতে পারে না। প্রতিদি সামান্য জাফরান দুধে দিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২. হলুদ:
প্রাচীন যুগ থেকে নানা রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হয় হলুদ। বর্তমান গবেষণা দেখা যাচ্ছে, হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এসকল উপাদান সর্দি-জ্বর ছাড়াও, অন্যান্য রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতেও সাহায্য করে ।
৩. মেথি:
মেথি আছে অ্যান্টিভাইরাল প্রপাটিজ। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি নিয়মিত গ্রহণ করতে পারলে, এই শীতে শরীরকে রাখা যাবে খুবই চাঙ্গা। তার সাথ সেরে যাবে ভাইরল জ্বর, গলায় ব্যথা । তাই প্রতিরাতে শুয়ার আগে পরিমাণ মতো মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই পানি পান করলে পাওয়া যাবে দারুন উপকার।
৪. জায়ফল:
বিরিয়ানি ও মাংসের তরকারিতে, সবচেয়ে অবাধ বিচরণ করা এই মশলাটি শুধু খাবারের স্বাদ নয়, খাবারের স্বাদের সাথে শরীরকে তাজা রাখতে সাহায্য করে। জায়ফলের ভেতরে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে কাজ করে। তাই এক গ্লাস গরম দুধে অল্প করে জায়ফল গুঁড়ো, এবং মধু মিশিয়ে খেলে এক্ষেত্রে দারুন উপাকার পাওয়া যায়।
৫. দারচিনি:
দারুচিনিতে আছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ। মশলাটি খাবারের স্বাদকে বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া শীতকালে শক্তিশালী হয়ে ওঠা সকল ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে, এই শীতে আপনার শরীর থাকবে তরতাজা ও রোগ মুক্ত।