Monday, December 23
Shadow

হেলথ টিপস : জেনে নিন দুর্দান্ত ১১টি স্বাস্থ্য টিপস

health tips হেলথ টিপসআজ আপনাদের জন্য রইল দুর্দান্ত ১১টি হেলথ টিপস। এই হেলথ টিপস / স্বাস্থ্য টিপসগুলো অনুসরণ করলে বেঁচে যাবে হাসপাতালের খরচ। ডাক্তারের ফোন নম্বর ও খুঁজতে হবে না হন্যে হয়ে ।

 

  1. যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
  2. শরীরের মেদ ঝরাতে ঈষদুষ্ণ পানির গুরুত্ব অনেক। তাই অনেকেই আছেন সকালে ঈষদুষ্ণ গরম পানির মধ্যে লেবু ও মধু দিয়ে খান রোগা হওয়ার জন্য। ঈষদুষ্ণ পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং বেশি ক্যালরি পোড়ে। ঈষদুষ্ণ পানি খেলে খিদে কমে যায় তার ফলে ওজন বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে না।
  3. কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয় ঈষদুষ্ণ পানি। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি এক গ্লাস উষ্ণ পানি খেতে পারেন তাহলে পেটের সমস্যা একেবারেই কমে যাবে। পেটের সমস্যায় ভোগা রোগীদের চিকিৎসকেরাও এই পরামর্শই দিয়ে থাকেন।
  4. ভুট্টায় কোলেস্টেরলের এবং সোডিয়াম খাকে না। এতে থাকা ফাইবার ও ভিটামিন B3 থাকে সেটি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। ভুট্টার আটায় তৈরি রুটি হার্টের রোগীদের জন্য খুবই উপকারি।
  5. ভুট্টায় ক্যারোটিনয়েড লুটিন এবং জেক্সানথিনের মতো প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি অপটিক টিস্যু থেকে ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যালস দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি চোখের সূক্ষ্ম অংশগুলিকেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। গ্লুকোমা এবং ছানির মতো সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
  6. গবেষণায় দেখা গেছে কার্পাল টানেল (কবজির স্নায়ুর রোগ) এবং কবজিতে ব্যথা- দুটোই এখন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে। দিনে ৫-৬ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করলে হাতে ব্যথা, অসাড়তা এবং সূঁচ ফোটার মতো অনুভূতি হতে পারে। যদি এ ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  7. স্মার্টফোন ব্যবহার না কমালে এর নীলচে আলো চোখের ক্ষতি করবেই। ফোনের স্ক্রিন চোখের ফটোরিসেপ্টরের ক্ষতি করে। সেইসঙ্গে ডেকে আনতে পারে মাইগ্রেন, ঝাপসা দৃষ্টি এবং এমনকি শুষ্ক চোখ তথা ড্রাই আই সমস্যা। যদি এমন উপসর্গ দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি ফোন থেকেও দূরে থাকুন কিছু সময়।
  8. ডার্ক চকোলেটের ফ্লেভানলের গুণের কথা তো আগেও শুনেছেন। যারা সরাসরি চকোলেট খান না তারা বিকল্প হিসেবে কোকোয়া পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন। তবে এর জন্য আগে সংগ্রহ করে নিতে হবে উন্নতমানের ডার্ক চকোলেট পাউডার।
  9. ক্রিমার বা পূর্ন ননীযুক্ত দুধ বাদ দিয়ে সয়া দুধ খাওয়ার অভ্যাস করলেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে কার্যকারিতার জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ-এর স্বীকৃতিও পেয়েছে।
  10. টমেটো হলো লাইকোপিনের দুর্দান্ত উৎস। এটিও এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা কোষকে রক্ষা করে। টমেটো জুস বানানো হলে এতে লাইকোপিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে নায়াসিন ও কোলেস্টেরল কমানোর মতো ফাইবারও আছে। টানা ২ মাস ২৮০ মিলিলিটার করে টমেটোর জুস খাওয়ার পর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে।
  11. শরীর ভিটামিন-এ ব্যবহার করে রোডোপসিন প্রোটিন তৈরি করে, যা চোখের রেটিনায় আলো শোষণ করতে সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ না থাকলে আপনার রঙ দেখার ক্ষমতা কমে যাবে। পাশাপাশি কম আলোতে দেখার ক্ষমতাও কমবে, যা রাতকানা নামে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!