কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা করা সুন্নত। তবে ওষুধ বা অন্য কিছুর ওপর ভরসা না রেখে মহান আল্লাহর ওপরই ভরসা রাখতে হবে। রোগীর পাক-পবিত্রতা, অজু ও নামাজ ইত্যাদির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। রোগীকে দেখতে গিয়ে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে সাতবার এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আসআলুল লা-হাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আই ইয়াশফিয়াক। অর্থাৎ আমি মহান আল্লাহর কাছে আপনার আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থনা করি, যিনি মহান আরশের অধিপতি।’
যথাসম্ভব রোগীর মনে সাহস দেবে। রাসুল (সা.) মুমূর্ষু ব্যক্তিকে এভাবে সাহস দিতেন, ‘লা-বাসা ত্বহুরুন ইনশাআল্লাহ।’ অর্থ : ভয়ের কোনো কারণ নেই, ইনশাআল্লাহ আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর মৃত্যু আসন্ন মনে হলে তার কাছে বসে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা ও নরম স্বরে কলেমায়ে তায়্যিবা পাঠ করতে থাকা উচিত—সম্পদের আলোচনা করা উচিত নয়। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১১৯, ৬/৩৭০, বুখারি, হাদিস : ৩৬১৬, আবু দাউদ, হাদিস : ৩১২১)
যে ব্যক্তির মৃত্যুর আলামত প্রকাশ পাবে, তাকে ডান পাশ করে শুয়ে দেবে, তার চেহারা কিবলামুখী করে দেবে, তাকে চিৎ করে এভাবেও শোয়ানো জায়েজ, যাতে পা কিবলামুখী থাকে। আর মাথা সামান্য উঁচু করে রাখবে এবং চেহারা থাকবে কিবলামুখী। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ৩/২৩৯)
মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির পাশে কলেমায়ে তায়্যিবার ‘তালকিন’ করা মুস্তাহাব। তালকিনের পদ্ধতি হলো, তার পাশে বসে এমনভাবে কলেমা পড়তে থাকা, যাতে সে শুনতে পারে। কিন্তু তাকে কলেমা পড়ার জন্য বলা যাবে না। (মুসলিম, হাদিস : ১৫২৩)
কারো মৃত্যুর আশঙ্কা হলে তার পাশে আত্মীয়স্বজন উপস্থিত থাকা মুস্তাহাব। (বুখারি, হাদিস : ১১৬৩) ওই ব্যক্তির পাশে সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। (মাসনাদুল ফিরদাউস : ১/৪০৬)
মৃত্যুর আলামত হলো, নাক একদিকে সামান্য বাঁকা হয়ে যাওয়া। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুতবেগে প্রবাহিত হওয়া ও ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেওয়া। পা ঢিলা হয়ে যাওয়া এবং দাঁড়াতে না পারা। কানপট্টি ভেঙে যাওয়া। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১৮৯, আহকামে মায়্যিত : ২২৬)