মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। দেশে এ পর্যন্ত মোট ৮৬ ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কোথাও নিষিদ্ধ ওষুধের কোন তালিকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়নি। স¤প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ বহু ওষুধও ধরা পড়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানির বিষয়ে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা অনেক চিকিৎসক এমনকি খুচরা ওষুধ বিক্রেতাদেরও কোন ধারণা নেই। জনকণ্ঠ
এদিকে জনবল সঙ্কটে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষেও সারাদেশের হাজার হাজার ফার্মেসি ঘুরে দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ সুযোগে লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানি ওষুধ উৎপাদন ও বিতরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকা না থাকায় রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে অনেক চিকিৎসক নিষিদ্ধ ওষুধ লিখে যাচ্ছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিচালিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রাজধানীর শতকরা ৯৩ ভাগ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ অবৈধ ওষুধ রয়েছে ও বিক্রি হচ্ছে। এতে সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং আদালত শীঘ্রই বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।
এ ব্যপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তুœ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ-ওষুধ থাকাটা অস্বাভাবিক। প্রচলিত নিয়ম অনুসারে যে কোন ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর ফার্মেসিগুলো তা একটি নির্দিষ্ট কন্টেইনারে মজুদ রাখবে এবং তাতে লিখা থাকবে এ ওষুধ বিক্রির জন্য নয়। তিনি দাবি করেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৯৩ ভাগ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে, প্রতিবেদনটি মোটেই সঠিক নয়। তিনি বলেন, নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ যেন কোথাও বিক্রি না হয়, সেজন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সব সময় সতর্ক রয়েছে। এসবের দায়ে গত ছয় মাসে ৩৭০টি মামলা ও ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।