মানুষকে শতবার বুঝিয়েও লাভ হচ্ছিল না প্রশাসনের। তাই করভিড ক্লিনিং নামের সুইডিশ কোম্পানিটি ঠিক করলো তারা পাখিকেই বোঝাবে। পাখির মধ্যে সবচেয়ে বুঝদার হলো কাক। সুতরাং কাককেই তারা বেছে নিলো প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে। কাজটা হলো রাস্তায় পড়ে থাকা সিগারেটের টুকরো একটি নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে জড়ো করা!
কাকের প্রশিক্ষণে ভালোই দক্ষতা আছে করভিড ক্লিনিংয়ের। তাই খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। কাকগুলোকে বার বার দেখিয়ে শেখানো হয়েছে, রাস্তায় পড়ে থাকা সিগারেটের টুকরো কুড়িয়ে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেললে পুরস্কার হিসেবে তারা পাবে খাবার। কাকেরাও দলবেঁধে শুরু করলো কাজ।
এদিকে সুইডেনের রাস্তায় সবচেয়ে বেশি যেটা পড়ে থাকে সেটা হলো সিগারেটের অবশিষ্ঠাংশ। গুনে দেখা গেলো মোট অপচনশীল আবর্জনার ৬২ ভাগই ওটা। তাই শুরুতে ওটা সংগ্রহ করার প্রশিক্ষণই দেওয়া হলো কাকের দলকে।
পরীক্ষামূলক প্রশিক্ষণপর্বে সফল প্রতিষ্ঠানটি। অনেকগুলো কাক এখন নিয়মিত পরিষ্কার করছে সুইডেনের পথঘাট। নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলতেই স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে বের হচ্ছে খাবার। মজার ব্যাপার হলো এক কাকের দেখাদেখি অন্য কাকেরাও এখন পরিচ্ছন্নতার এ কাজে যোগ দিয়েছে। করভিড ক্লিনিং বলছে এ কাজে কাকের দলকে কাজে লাগালে তাদের পরিচ্ছন্নতার খরচ ৭৫ ভাগ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
প্রশ্ন হলো, আমাদের এই আবর্জনায় ভরপুর শহর ঢাকার ক্ষেত্রেও এমন একটি উদ্যোগ কি কাজে আসবে? কাকের তো অভাব নেই এই নগরে।