উৎসবের মরসুমে প্রায় সকলেই নিজের শরীর ও চেহারা নিয়ে বাড়তি যত্ন নিতে শুরু করেন। সারা বছরের অবহেলা সরিয়ে অল্প কয়েক দিনেই শরীরকে মেদহীন ছিপছিপে করে তোলা না গেলেও ডায়েটে পরিবর্তন ও কম ক্যালোরির খাবার অল্প কয়েক দিনেই মেদ কমায়। অনেক রোগও দূর হয়। দেখে নিন এমন কিছু খাবার।
শশা: এই ফলের বেশির ভাগই জল। তাই হজমে সাহায্য করে শরীরে জমতে দেয় না বাড়তি ফ্যাট। এক কাপ শশার রসে মাত্র ৮ ক্যালোরি থাকে। কম ক্যালোরি কিন্তু উচ্চ ফাইবারের এই ফল মেদ কমাতে ভীষণ কার্যকর।
ব্রকোলি: ক্যানসার প্রতিরোধক এই সব্জিতে রয়েছে উচ্চ পুষ্টিগুণ। এক কাপ ব্রকোলিতে মেলে ৩২ ক্যালোরি। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ তো করেই সঙ্গে মেদও ঝরায় ঝটপট।
লেটুস: এক কাপ লেটুসে আছে ৩৪ ক্যালোরি। শরীর সচেতন মানুষরা স্যালাডে যোগ করেন এই শাক। এর পুষ্টিগুণ যেমন প্রচুর তেমনই এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে। রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতে, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে লেটুস। কম ক্যালোরির খাবার হওয়ায় শরীরের বেড়তি মেদকেও সরিয়ে দিতে ওস্তাদ এই শাক।
পেঁপে: ভিটামিন এ-র প্রাচুর্য থাকায় এই সব্জি ডায়ারিয়া রুখে দিতে ওস্তাদ। শিশুদের ক্ষেত্রে উচ্চতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই সব্জি। এক কাপ পেঁপেয় পাওয়া যায় ৫৫ ক্যালোরি। ওজন কমাতে পুষ্টিবিদরাও ভরসা করেন একে। স্যালাড বা ঝোলে পেঁপে রাখলে তা শরীরের পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে ও মেদ কমায়।
তরমুজ: এই ফলেও প্রচুর জল। ভিটামিন সি ও ফাইবারে ঠাসা এই ফল ওজন কমায়। প্রতি কাপে মেলে ৪৬ ক্যালোরি। তরমুজ লিভারকে ঠান্ডা রাখে।
টম্যাটো: রক্তচাপ কমাতে ও কার্ডিওভাসকুলারের অসুখ সারাতে টম্যাটোর জুড়ি নেই। এক কাপ টম্যাটো থেকে পাওয়া যায় ২৭ ক্যালোরি। পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই সব্জিতে ফাইবার প্রচুর। মেদ ঝরাতে টম্যাটোর সুপ অত্যন্ত কার্যকর।
পালং: ভিটামিন ও খনিজে ভর্তি এই শাক ওজন কমাতে খুব উপকারী। ছিপছিপে চেহারা চান, আর ডায়েটে পালং রাখেননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। এক কাপ পালংয়ে মেলে সাত ক্যালোরি।