Monday, December 23
Shadow

Tag: অতিপ্রাকৃত গল্প

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

Stories
  বর্ষা খুব বেশি হলে তাকে ঘোর বর্ষা বলে। এর কারণ, অধিক বর্ষায় এক ধরনের ঘোর লাগে। তবে সত্য কথাটা হলো এই ঘোর সবার লাগে না। আমার লাগার কথা ছিল কিনা জানি না, তবে ১৯৯০ সালের ওই ঘটনায় আমি একবার ভীষণ এক বর্ষা-ঘোরে পড়ে গিয়েছিলাম। মাসটা ছিল আষাঢ়। দুলার হাটে আমি আগে কখনো যাইনি। আমার এক বন্ধু আরিফের বাড়ি ওই গ্রামে। আরিফ আমাদের এলাকায় থাকতো তার বাবার চাকরির কারণে। ছুটি পেলে বাড়ি যেত। দুর্গম পাহাড়-পর্বত বা সমুদ্র নয়, অচেনা ছিমছাম গ্রামই আমাকে বেশি টানতো। তাই নতুন গ্রাম দেখার লোভে আরিফের সঙ্গে যেতে একবার রাজি হয়ে যাই। বাড়িতে ম্যানেজ করতে কষ্ট হলেও আমার জেদের কাছে হার মানে সবাই। যে সময়ের কথা বলছি, তখন মোবাইল-টেলিফোন ছিল না। ছিল শুধু ফিল্মের ক্যামেরা। আমি তখন কলেজে। আমার একটা ক্যামেরা ছিল। ওটা ছিল যাবতীয় অ্যাডভেঞ্চারের একমাত্র সঙ্গী। পকেটে অবশ্য একটা নোটবুক আর কলম রাখার বাতিকও ছিল। দুলার হাটের ...
অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

Stories
সকাল সকাল সাইকেলের প্যাডেল দাবিয়ে চলেছেন তৈয়ব আখন্দ। চকচকে টাক, পেছনে কয়েক গাছি চুল, গোলগাল মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, সামান্য ভুড়ি; এমন একটা মানুষের নাম তৈয়ব আখন্দ হওয়াই তো স্বাভাবিক!   তৈয়ব আখন্দ সম্ভবত কোনো একটা ছোটখাট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ছোটখাট পদে। বড় পদ হলে চকচকে স্যুট টাই পরতেন। তৈয়ব আখন্দের এসব নেই। আছে একটা পুরনো বাইসাইকেল।   অফিসে যাওয়ার সময় কোনো দিকে তাকান না তৈয়ব। এক সপ্তাহ হলো তাকাচ্ছেন। গুলিস্তানের এক কোনায় ফুটপাতের পাশে সুড়ঙ্গের মতো সরু একটা চায়ের দোকানের সামনে বসে থাকে লোকটা। সাধু সন্ন্যাসীর মতো। তৈয়ব আখন্দের মতোই মাথাভর্তি টাক। খানিকটা ভুড়িও আছে।   চিরকুমার তৈয়ব আখন্দ আয়না দেখেন না বহুদিন। দেখলে অবাক হতেন। সন্ন্যাসীর মতো লোকটা অবিকল তার মতো দেখতে। অবিকল মানে অবিকল। দাড়ি কমায় মিল। নিজের চেহারা কেমন সেটা ভুলে গেছেন বলেই লোকটার দিকে কেবল ভুরু...
হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

Stories
ধ্রুব নীলের হরর গল্প  ‘কেউ মারা যাবে কিনা সেটা আমি আগেভাগে বলে দিতে পারি। চেহারা দেখলেই বুঝতে পারি।’ ‘আপনার নামটা কী যেন...।’ ‘সিদ্দিকুর রহমান। আমার বয়স পঞ্চাশ। ডায়াবেটিস আছে।’ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখেই বোঝা যায় তিনি অস্বস্তিতে আছেন। মাথা নিচু করে পায়ের নখ দিয়ে ফ্লোর খোঁটার চেষ্টা করছেন। টাইলস শক্ত হওয়ায় পারছেন না। অস্বস্তিতে পড়ার কারণ হলো তিনি এর আগে কোনোদিন মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসেননি। তার ধারণা, মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসবে মাথা খারাপ হওয়া লোকজন। তার মতে, তার মাথা পুরোপুরি ঠিক আছে। তা না হলে টানা বিশ বছর ব্যাংকের চাকরি করতে পারতেন না। ডা. কায়সার বয়সে তরুণ। চেম্বারে রোগী কম। সিদ্দিকুর রহমানের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটা কিছু বোঝার চেষ্টা করলেন। মুখে নকল হাসি টেনে বললেন, ‘আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা সেটা দিয়ে তো আমার কাজ নেই। আমার কাজ মনের কারবার নিয়ে। তবে ডায়াবেটিস খুব খারাপ জিনিস। শরীরের ...
ভয় : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

ভয় : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

Cover Story, Stories
সদ্য খোঁড়া কবরের ভেতর শুয়ে আছি। স্যাঁতস্যাঁতে মাটি লেগে শার্টের পেছনটা ভিজে গেছে। ভেতরটা উষ্ণ। বাতাসের জন্য একটা পাইপের ব্যবস্থা আছে। তবু মনে হচ্ছে অক্সিজেন পাচ্ছি না। পাইপের অপরপ্রান্তে সম্ভবত পলিথিন জাতীয় কিছু আটকে গেছে। পাশ ফিরতেও সমস্যা। কারণ আমার পাশেই একটা তরতাজা কাফনে মোড়া লাশ। লাশ কি তরতাজা হয়? লাশ মানে জড়বস্তু। মনে করুন আপনি খাটে শুয়ে আছেন। খাট জড়বস্তু। মাথার নিচের বালিশ জড়বস্তু। যতক্ষণ না ওই বস্তু আপনার ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়াচ্ছে ততক্ষণ আপনি...। ‘খুকক.. খুককক...।’ লাশটা কেশে উঠল। ভুল বললাম। লাশ হলে কাশবে কেন? লোকটা বেঁচে আছে? কাশি শুনে বুঝলাম বয়স পঞ্চাশের ঘরে। চিঁ চিঁ শব্দ আসছে কাফনের ভেতর থেকে। জোর করে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করলে যেমন শব্দ হয়। কিছু বলা দরকার? নাকি চুপচাপ শুয়ে থাকব? কবরের ভেতর ঢোকার গল্পটা সংক্ষেপে বলি। আমার বন্ধু তুষার। সে-ই সব ব্যবস্থা করেছে। এটা ওটা ম্যানে...

Please disable your adblocker or whitelist this site!