Thursday, March 28
Shadow

Tag: ইসলাম

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ইসলামের বিধান

Islam
যে ব্যক্তি শুধু প্রথাগত ইবাদত করে কিন্তু আল্লাহর রাস্তায়, বিপদগ্রস্ত ও আর্তমানবতার কল্যাণের জন্য দান-খয়রাত, জাকাত সাদকা ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসে না, সমাজের অসহায়, দুর্গত, ক্ষতিগ্রস্ত গরিব-দুঃখী মানুষের অভাব দূরীকরণ, চরম ক্ষুধা নিবারণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে দানের হাত সম্প্রসারণ করে তাদের পাশে দাঁড়ায় না, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে অংশগ্রহণ করে না, সে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর কাছে কখনোই প্রিয়ভাজন হতে পারবে না সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনায় ছাই হয়ে গেছে ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান। সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দোকান মালিকসহ প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। দেশের অর্থনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিদুর্ঘটনাসহ সব ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টির অন্যতম কারণ মানুষের কৃতকর্ম। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপ...
ইসলামে আলগা চুল লাগানো জায়েজ? বিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে?

ইসলামে আলগা চুল লাগানো জায়েজ? বিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে?

Islam, প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: টাক মাথায় কি কৃত্রিম ও আলগা চুল লাগানো জায়েজ? উত্তর: স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে টাক মাথায় কৃত্রিম ও আলগা চুল লাগানো জায়েজ নেই। কেননা, হাদিস শরিফে এসেছে-‘আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, যে কৃত্রিম চুল লাগিয়ে দিতে বলে এবং যে লাগায়; দুজনের উপরে আল্লাহর রাসুল (সা.) লানত ও অভিসম্পাত করেছেন।’ (নাসায়ী শরিফ, হাদিস: ৯৩৭৪) টাক মাথায় চুল লাগানো আল্লাহর সৃষ্টিতে অপ্রয়োজনে হস্তক্ষেপের শামিল, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে ইসলামি আইনজ্ঞরা বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে টাক মাথায় চুল লাগানো যেতে পারে। যেমন: চুল পড়ে যাওয়ার কারণে কোন যুবতীর বিয়ে হচ্ছে না ইত্যাদি। তথ্যসূত্র: রদ্দুল মুহতার ৬/৩৭৩, উমদাতুল কারী ২২/৬৪   প্রশ্ন: কোন মসজিদে একই ওয়াক্তের নামাজের একাধিক জামাত করা যাবে? উত্তর: কোন মসজিদে একই ওয়াক্তে কিংবা একই সময়ে সামনে-পেছনে একাধিক জামাত করা যাবে না। আব্দুর রহমান বিন মুজবার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন...
ভুল ধারণা!“দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”

ভুল ধারণা!“দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”

Islam
জামাল হোসেন: “দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”। কেও কেও এই উক্তিটিকে হাদিস হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন অথচ এটা হাদিস নয়, অতি উৎসাহী কোন ব্যাক্তির কথা। খাজা মিজামুদ্দীন আউলীয়া (রাহঃ) কে এই উক্তিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা হাদিস নয়; কারও উক্তি। (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ ১০৩, তারীখে দাওয়াত ও আযীমত ৩/১২৭-১২৮) এই কথাটিও ঠিক নয়। কারণ আল্লাহ্‌র নিকট এই দান গ্রহন যোগ্য, যা ইমান ও ইখলাসের সাথে হয়ে থাকে। ইমান নাই এমন লোকের দান সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন, “ আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব। এরপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণারুপ করে দিব”।(সুরা-ফুরকান আয়াত-২৩) এই আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, যে আমলে আন্তরিকতা থাকবেনা আল্লাহ্‌র শরীয়াত অনুযায়ী যে আমল হবে না তা বাতিল এবং বিফল হয়ে যাবে। কাফেরদের আমলে এই দুটির কোনটিই নেই। ফলেই তা কবুল হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এজন্য আল্লাহ্‌ বলছেন যে আমি তাদের...
আল কুরআনের ভাষা ও পার্শিয়ান গোলকধাঁধা

আল কুরআনের ভাষা ও পার্শিয়ান গোলকধাঁধা

Islam
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ওফাতের প্রায় চার প্রজন্ম পরে ইংরেজি অষ্টম থেকে নবম শতকে আল-কুরআনের প্রথম ফারসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। অনুবাদের ক্ষেত্রে কুরআনের ভাষাকে প্রচলিত আদর্শ আরবি থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করা হয়। আমাদেরকে বুঝানো হয় কোরআনের ভাষা আরবি হলেও এটা আলাদা। প্রচলিত আরবি ভাষা থেকে এটি ভিন্ন। মূলত পার্শিয়ান স্কলাররা আরবি ভাষার সাথে প্রায় সমুচ্চারিত ফারসি ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে এই কাজটি করতে সক্ষম হয়। যার মাধ্যমে আল কোরআনের প্রকৃত বার্তাকে তাদের ধর্ম মতে বিকৃত করা হয়। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন, বর্তমানে আল কোরআনের যে অর্থ প্রচলিত আছে তা আরবদের প্রচলিত আরবি ভাষা থেকে ভিন্ন। আরবদের দৈনন্দিন জীবনে কোরআনের যে শব্দগুলো ব্যবহার করে তা কুরআনের অর্থ হতে আলাদা। যেমন আমরা কোরানিক শব্দ জান্নাত অর্থ বাগান বুঝলেও আরবরা বুঝে কবরস্থান (যেখান থেকে নতুন জীবন তথা পরবর্তী জীবন শুরু হয়), উদাহরণ: জান্নাতুল বাকি। ...
জাকাত ব্যবস্থাপনা : সংগ্রহ কৌশল ও বণ্টন প্রক্রিয়া

জাকাত ব্যবস্থাপনা : সংগ্রহ কৌশল ও বণ্টন প্রক্রিয়া

Islam
এ প্রবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো জাকাতের ধর্মতাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ। ইসলামের অন্যতম পঞ্চ স্তম্ভ জাকাতকে একটি এবাদত হিসেবে বিবেচনার পাশাপাশি উন্নয়ন অর্থনীতি ও বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের নিয়ামক হিসেবে একে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাকাতের অর্থ সংগ্রহ, এর প্রাতিষ্ঠানিক স্থাপনা ও নীতি ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি জাকাতলব্ধ অর্থ বিতরণ প্রক্রিয়া বর্তমান প্রবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।   আল কুরআনের অসংখ্য আয়াতে নামাজের পাশাপাশি জাকাত আদায়ের জন্য আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন: ‘তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো এবং জাকাত প্রদান করো।’ (আল্ কুরআন, ..:)। বুখারী শরীফে বর্ণিত আছে: ‘ইসলামের ভিত্তি ৫টি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।’ (আল্ বুখারী, কিতাবুল ঈমান)। এ দীর্ঘ হাদিসে জাকাতকে তৃতীয় স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অতীব দুঃখের বিষয় হলো, মুসলিম সমাজ একে নিছক একটি ধর্মীয় উ...
দোয়ায় আমরা যে সব ভুল করে থাকি

দোয়ায় আমরা যে সব ভুল করে থাকি

Islam
দু’আতে আমরা যে সব ভুল করে থাকি। দোয়া করার সঠিক নিয়ম জেনে নিন। দোয়া যেভাবে করলে ভুল হবে। ১। শির্ক জাতীয় দু’আ করা। ২। শরীয়ত যা হবে বলে, তা না হতে দু’আ করা; যেমন বলা যে, ‘আল্লাহ্‌! তুমি কিয়ামত কায়েম করো না, কাফেরকে আযাব দিয়ো না’। ৩। শরীয়ত যা হবে না বলে, তা হতে দু’আ করা; যেমন বলা যে, ‘আল্লাহ্‌! তুমি কাফেরকে বেহেশত দান কর, আমাকে দুনিয়ায় চিরস্থায়ী কর, আমাকে গায়েবী ইল্‌ম দাও ইত্যাদি। ৪। জ্ঞান ও বিবেকে যা হওয়া সম্ভব, তা না হতে দু’আ করা। ৫। জ্ঞান ও বিবেকে যা হওয়া অসম্ভব তা হওয়ার জন্য প্রার্থনা করা। ৬। শরীয়তে যা হবে না বলে শুনা যায়, পুনরায় তা না হতে প্রার্থনা করা। ৭। শরীয়তে যা হবে বলে শুনা যায়, পুনরায় তা হতে দু’আ করা। ৮। প্রার্থিত বিষয়কে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় দেওয়া; যেমন, ‘হে ‘আল্লাহ্‌! তুমি যদি চাও তাহলে আমাকে ক্ষমা কর’ ইত্যাদি। ৯। অন্যায়ভাবে কারো উপর বদ্দুআ করা। ১০। কোনও হারাম বিষয় প্রার্থনা ...
কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কী?

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত কী?

Islam, প্রশ্ন ও উত্তর
প্রিয় নবী (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কিতাবের একটি অক্ষর পাঠ করবে, সে এর বিনিময়ে একটি নেকি পাবে।আর একটি নেকি দশ গুন করা হবে। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মিম’ একটি অক্ষর। বরং এতে রয়েছে তিনটি অক্ষর”। (তিরমিযী ৫/১৭৫) “তোমরা কোরআন পাঠ কর। কারণ তা কেয়ামতের দিন পাঠকারীদের জন্য সুপারিশকারী রূপে আবির্ভূত হবে”। (মুসলিম) “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়”।  (বুখারী৬/১০৮) “মসজিদে গিয়ে একটি আয়াত শিক্ষা করা বা মুখস্থ করা একটি বৃহদাকার উট পাওয়ার চেয়েও উত্তম”। (মুসলিম) “যে ব্যক্তি কষ্ট করেও কোরআন শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টা করে, তার দ্বিগুণ সওয়াব”। (বুখারী ও মুসলিম) “মর্যাদায় সবচেয়ে বড় সূরা হল, সূরা ফাতেহা”। (বুখারী) “যে ঘরে সূরা বাকারাহ তেলাওয়াত  হয়, সে ঘরে শয়তান (জিন) প্রবেশ করে না”। (মুসলিম) “মর্যাদায় সবচেয়ে বড় আয়াত, আয়াতুল কুরসী”। (মুসলিম) “সূরা কাহফের প্...
৩০০ জনকে ইফতার দিলো স্বপ্নছায়া

৩০০ জনকে ইফতার দিলো স্বপ্নছায়া

Islam
গত ৯ ই রোজা ও ১৪ ই রোজায় স্বপ্নছায়া প্রায় ৩০০ মানুষের ইফতার এর আয়োজন করেছে। ৯ রোজায় ঢাকার গোড়ান বাজার এতিমখানায় স্বপ্নচায়ার দল ১৩০ জনের ইফতার ব্যাবস্থা করে, এতিম শিশুদের সাথে  তারা দারুণ কিছু সময় কাটায়। ১৪ রোজায় কুমিল্লার শাকতলা ,বিসিক,রেইস কোর্স ৩ টি এতিমখানা ও মাদ্রাসায় এই ইফতার বিতরণ হয়।। ৩০০ মানুষের ইফতার আয়োজন শেষেও তারা থেমে নেই।সামনে তাদের ঈদ এর ইভেন্ট আছে।এখন তারা ঈদ ইভেন্ট এর জন্য মুখিয়ে আছে।...
তাশাহহুদের সময় তর্জনী নাড়ানোর বিধান কি?

তাশাহহুদের সময় তর্জনী নাড়ানোর বিধান কি?

Islam
তাশাহহুদের সময় তর্জনী নাড়ানো শুধুমাত্র দু’আর সময় হবে। পূরা তাশাহহুদে নয়। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ “তিনি (রাসূলুল্লাহ সা.) উহা নাড়াতেন ও দু’আ করতেন।” এর কারণ হচ্ছেঃ দু’আ আল্লাহ্‌র কাছেই করা হয়। আর আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা (তাঁর যাতসত্ত্বা) আসমানে আছেন। তাই তাঁকে আহবান করার সময় উপরে আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করবে। আল্লাহ্‌ বলেন, أَأَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمْ الأَرْضَ فَإِذَا هِيَ تَمُورُ، أَمْ أَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ “তোমরা কি নিরাপদে আছ সেই সত্বা থেকে যিনি আসমানে আছেন যে, তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দিবেন না? তখন আকস্মিকভাবে যমীন থরথর করে কাঁপতে থাকবে। অথবা নাকি তোমরা নিরাপদ আছ সেই সত্বার ব্যাপারে যিনি আসমানের অধিপতি তোমাদের উপর কঙ্করবর্ষী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পা...
দুনিয়াতে আল্লাহ্‌র সাক্ষাত লাভ কি সম্ভব?

দুনিয়াতে আল্লাহ্‌র সাক্ষাত লাভ কি সম্ভব?

Islam
দুনিয়াতে আল্লাহ্‌র সাক্ষাত লাভ কি সম্ভব? লিখেছেন শিক্ষক জামাল হোসেন। দুনিয়াতে আল্লাহ্‌র সাক্ষাত বা আল্লাহকে দেখা কি সম্ভব? আমাদের দেশে এমন অনেক শুনতে পাওয়া যায় যে অমুক নাকি আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাত বা দেখা করে এসেছে। আসলে এই কথা কতটা কতটা সত্য এবং ইসলামে কোরআন ও সহীহ হাদিস কি বলে- এই রকম কথার কোন ভিত্তি নেই। মুসলিমগণ এ কথার উপর এক মত যে দুনিয়াতে আল্লাহ্‌কে চোখে দেখা সম্ভব নয়। পবিত্র কোরআন বলছে, “ কোন চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না এবং তিনি সকল চক্ষুকে দেখে থাকেন আর তিনি সুক্ষ্মদর্শী ও খবর সম্পর্কে অবগত”। (সূরা আনআম, আয়াত-১০৩) তবে মুমিনগন পরকালে আল্লাহ্‌কে দেখতে পাবেন। আল্লাহ্‌ বলেন, “ সেদিন কিছু মুখমণ্ডল উজ্জল হবে, তার প্রতিপালককে (আল্লাহ্‌) কে দেখতে পাবে”। (সূরা কিয়ামাহ, আয়াত: ২২৩) রাসূল (সঃ) কি মিরাজে গিয়ে আল্লাহ্‌কে নিজের চোখে দেখেছেন? কোন কোন সাহাবা (রাঃ) দেখেছেন বলে মত দিয়েছেন কিন্তু যে দল...
কিয়ামত পৰ্যন্ত যে দোয়া সীলমোহর করে সংরক্ষণ করা হয়

কিয়ামত পৰ্যন্ত যে দোয়া সীলমোহর করে সংরক্ষণ করা হয়

Islam
কিয়ামত পৰ্যন্ত যে দোয়া সীলমোহর করে সংরক্ষণ করা হয় (ওযু শেষ করার পর কালেমা শাহাদাত ও অন্যান্য দোয়া পাঠ করে সবশেষে এই দোয়া পাঠ করতে হয়) (সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা) হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তাওবা করছি। আবু সাঈদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত: রাসূল (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি উযূ করার পর এই দোয়াটি পাঠ করবে তার জন্য এটি একটি সাদা পাতায়/পাতলা চামড়ায় লিপিবদ্ধ করা হয়। অত:পর তা সীল করে দেয়া হয় যা কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত নষ্ট করা হয় না। (সহীহ আত-তারগীব ১৪৭; সিলসিলাহ সহীহাহ ২৩৩৩) আবু সাঈদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত: রাসূল (সা:) বলেছেন, যদি কেউ ওযু করার পর এই দোয়াটি পাঠ করে তাহলে তা একটি পত্রে লিখে তার উপ...
যে যিকিরের পুরস্কার সরাসরি আল্লাহ দিবেন

যে যিকিরের পুরস্কার সরাসরি আল্লাহ দিবেন

Islam
যে যিকিরের পুরস্কার সরাসরি আল্লাহ দিবেন আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, একবার জনৈক ব্যক্তি এই বাক্যটি বলল। বাক্যটি শোনে আমল লিপিবদ্ধকারী দুই ফিরিশতা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। তারা বুঝতে পারলেন না এ বাক্য পাঠের সওয়াব তারা কিভাবে লিখবে। তারা আকাশে আরোহণ করে বলল, হে আমাদের প্রভু! আপনার বান্দা একটি বাক্য বলেছে। আমরা বুঝতে পারছি না এর সওয়াব কিভাবে লিখব? যদিও আল্লাহ সবকিছু জানেন তবুও জিজ্ঞাসা করলেন, আমার বান্দা কী বলেছে? ফেরেশতারা বাক্যটি পাঠ করে আল্লাহকে শোনালেন। আল্লাহ বললেন, এ বাক্যের সওয়াব লিখার সামর্থ্য তোমাদের নেই। আমার বান্দা যা বলেছে তোমরা সেইটাই লিখে রাখ। সে যখন আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তখন আমি নিজে তাকে এর প্রতিদান দিব। (ইয়া রব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিজালালি ওয়াজহিকা ওয়া আজিমি সুলতানিকা) হে আমার প্রভু! আপনার সুউচ্চ মর্যাদা ও বিশাল রাজত্ব অনুসারে আপনার প...
সুস্থতা  ও সার্বিক কল্যাণের দোয়া

সুস্থতা ও সার্বিক কল্যাণের দোয়া

Islam
আল্লাহর রাসূল সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত এই দোয়া পড়তেন, ১: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরহ। اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، আল্লাহুম্মা! আমি আপনার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতে সুস্থতা কামনা করছি। ২: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফী দীনি ওয়া দুনইয়ায়া ওয়া আহলী ওয়া মালী। اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ، আল্লাহুম্মা! আমি আপনার কাছে আমার দীন ও দুনিয়া, আমার ধনে-জনের ব্যাপারে ক্ষমা ও সুস্থতা প্রার্থনা করছি। ৩: আল্লাহুম্মাসতুর আওরাতী ওয়া আমিন রাওআতী। اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَتِيْ وَآمِنْ رَوْعَاتِيْ؛ আল্লাহুম্মা! আমার দোষত্রুটি ঢেকে দিন। আমার ভয়ভীতি দূর করে দিন। ৪: আল্লাহুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফী ওয়া আন ইয়ামীনি ...
সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ

সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ

Islam
সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ । সহীহ সুন্নাহ থেকে ফরজ সালাত সমাপান্তে সবার জন্য পঠিতব্য দুয়া ও জিকির সমূহ উপস্থাপন করা হল: (1) اَللهُ أَكْبَرُ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ- উচ্চারণ : ১. আল্লা-হু আকবার (একবার পড়বে)। আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)। অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১ ‘ছালাত পরবর্তী যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮।] (2) اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَ الْإِكْرَامِ. ২. আল্লা-হুম্মা আন্তাস্ সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবা-রক্তা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরাম। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক’। ‘এটুকু পড়েই ইমাম ...
আজ থেকে বহু বছর পর যখন কবরবাসী হয়ে যাবো

আজ থেকে বহু বছর পর যখন কবরবাসী হয়ে যাবো

Islam
আজ থেকে ২০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা। তারাও আমাকে চিনবেনা। কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবরবাসী হয়ে যাব। আর ততদিন মুছে যাবে আমার নাম নিশানা। কবরটাও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে! কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না। হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে। কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবে না। প্রায় ২০০ বছর আগে মারা গেছে আমার দাদার দাদা। যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একিই বাড়ি, একিই জায়গা জমি আমরা এখন ভোগ করছি। কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা। হয়ত আমার দাদার পিতা জানতেন। কিন্তু দাদার পিতা তো বেঁচে নেই, দাদাও বেঁচে নেই। ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!