Saturday, December 21
Shadow

Tag: ছোটদের গল্প

জাদুর কাগজের গল্প : ছোটদের গল্প

জাদুর কাগজের গল্প : ছোটদের গল্প

Kidz, Stories for Kids
আজ তোমাদের শোনাবো এক জাদুর কাগজের গল্প। এ কাগজে যেটার ছবি আঁকা হয়, সেটাই চলে আসে। আর সেই জাদুর কাগজ পেয়ে গেলো মিতু। তারপর কী হলো? চলো তো আমরা গল্পটা শুনি।   একদিন মিতু যাচ্ছিল স্কুলে। । আজ সে দেরি করে ফেলেছে। সবাই আগে আগে হাঁটছে সে পেছনে পড়ে গেছে। কেন পেছনে পড়ে গেলো? কারণ মিতুর একটা পা নেই। সে ক্রাচে ভর করে হাঁটে। এ জন্যই তার স্কুলে যেতে একটু দেরি হয়। মিতুর কাঁধে একটা স্কুল ব্যাগ আছে। ব্যাগের গায়ে কী দারুণ একটা পাখির ছবি! ছবিটা মিতু নিজেই এঁকেছে। সে অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে জানে। কিছুদূর যেতেই একটা ছায়া ঘেরা রাস্তা। আশপাশে আর কেউ নেই। মিতু গুন গুন করে ছড়া বলতে বলতে হেঁটে যায়। মিতু: টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার, হাউ আই ওয়ান্ডার হোয়াট ইউ আর। এটা কী? ওমা কত্ত বড় একটা পাখি! মিতু খুব অবাক হয়। মিতু: আরে! এটা তো আমার আঁকা পাখি! ব্যাগের গায়ে মিতু এই পাখিটাকেই এঁকেছিল। কিন্তু এত বড় লা...
গল্প : বোয়াল মাছ এবং গাছ বন্ধুর গল্প

গল্প : বোয়াল মাছ এবং গাছ বন্ধুর গল্প

Kidz, Stories for Kids
চন্দনকৃষ্ণ পাল ১. বিলাস নদী পাহাড় থেকে নেমে একে বেঁকে প্রথমে যে গ্রামটিকে ছুঁয়েছে তার নাম হরিণাকান্দি।খুব সুন্দর এ গ্রাম।সামনে তাকালে দূরে কালচে পাহাড় । বামে তাকালে হাইল হাওরের নীল জল।আকাশ ছোঁয়া নীল জলের হাওরে কত মাছ আর জলজ প্রাণী যে আছে, তার কোন হিসেব নেই বোয়াল পরিবারের ছোট ছেলে টুনুর কাছে। টুনুদের বাস বাইক্কা বিলে।বাইক্কা বিলে মাছ ধরা নিষেধ। তাও মাঝে মাঝে মাছ চোররা হামলা করে। টুনুরা বিলের গভীরে থাকায় বেঁেচে যায়। জন্মের পর গত একবছরে বিলের সব গলি ঘুপচি বেড়ানো শেষ টুনুর । ওর ইচ্ছা একবার বিলের বাইরে কোন নদী ধরে অনেক দূর যাবে। কিন্তু সবাই ভয় দেখায়। বলে বিলের বাইরে অনেক বিপদ।সবচেয়ে বড় বিপদ মানুষ। সব ধরনের মাছই মানুষের প্রিয় খাদ্য। তাই মানুষের চোখে পড়লে আর রক্ষা নাই। দাদুর কাছে টুনু নদীর গল্প শুনেছে।দাদুই একমাত্র বোয়াল যে নদী বেড়িয়ে আবার বিলে ফিরে এসেছেন।টুনু ভাবে ও ঠিকই নদী দেখতে যাবে।এতো ভয়...
পপকর্নের ইতিহাস : পপকর্ন কিভাবে বানায় ?

পপকর্নের ইতিহাস : পপকর্ন কিভাবে বানায় ?

Kidz, Stories for Kids
আজ আমরা জানবো পপকর্নের ইতিহাস। সেইসঙ্গে পপকর্ন কিভাবে বানায় সেটাও জেনে নেওয়া যাক এক ফাঁক। কিন্তু ও কে? ভুটু মিয়া না? চলো তো ভুটু মিয়া কী করে দেখি নাম তার ভুটু মিয়া। দেখতে দানাদার বীজের মতো। আসলে সে বীজই। গায়ে তেল মেখে চকচকে করে তাকে ঢেলে দিল একটা কড়াইতে। এরপর ঘুটাং ঘুট। তলায় জ্বলছে আগুন। ঘুরতে ঘুরতে ভুটু মিয়া গরমে কাহিল। ভেতরটা গুড় গুড় করছে। গরমে ফেটে বেরিয়ে আসবে যেন। ওমা! সত্যিই তো, আরেকটু গরম বাড়তেই ফট ফট ফটাশ! এক লাফে তিন হাত উঁচুতে উঠে গেল ভুটু মিয়া। আয়নায় চেহারাটা দেখতেই চমকে উঠলো। ছিল একটা দানা, হয়ে গেল পপকর্ন!   পপকর্ন সাথে আছে তো? একটা কিছু করার জন্য মানুষের আরেকটা কিছু লাগে। এই যেমন কেউ আছে গল্পের বই পড়তে পড়তে চা খায়, আবার কেউ গান শুনতে শুনতে দৌড়ায়। সিনেমা দেখার সময় কী লাগে? পপকর্ন! অবশ্য লেখাটা পড়তে পড়তেও পপকর্ন খেতে পারো। তাতে আশা করি দোষ হবে না। পপকর্ন খাওনি এমন...
ছোটদের গল্প : মিষ্টি পরী ও রিশা

ছোটদের গল্প : মিষ্টি পরী ও রিশা

Kidz, Stories for Kids
ছোটদের গল্প : মিষ্টি পরী ও রিশা লিখেছেন গাজী খায়রুল আলম রিশা ও তিশা বান্ধবী। একই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে দুজন। রিশা খুব ভালো ছাত্রী, কিন্তু রিশার তুলনায় তিশা  কম মেধাবী। মাঝে মাঝে স্কুলে পড়া না পারলে ম্যাডাম তিশাকে বকা দেয়। যেটা দেখলে রিশার খুব মন খারাপ হয়। আজও তাই হয়েছে। ইংরেজি ম্যাডাম তিশাকে অনেক বকেছে। অনেকক্ষণ কেঁদেছে তিশা। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো এই ছোট বয়েসে কোনো ভাষা খুঁজে পায়নি রিশা। স্কুল ছুটির পড়ে মন খারাপ করে বাসায় ফিরে। বাসায় আসার সময় দেখতে পায় পাশের বাড়িতে খুব ঝগড়া চলছে। এই দৃশ্যটাও প্রতিদিন দেখতে হয় তাকে। চিৎকার, চেচামেচী করে আবার তারা নিরব হয়ে যায়। এসব কিছুই ভালো লাগেনা রিশার। মনে মনে ভাবে, এমন কোনো পৃথিবী কী নেই, যেখানে পড়া না পারলে ম্যাডাম কাউকে বকবে না। ছোট বেলা ‘মা’ যেভাবে আদর করে পড়ায় স্কুলের শিক্ষকরাও সেভাবে আদর করে পড়াবে। মানুষের মধ্যে থাকবে না হিংসা, বিদ্...

Please disable your adblocker or whitelist this site!