class="archive tag tag-35 wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Tag: থ্রিলার

হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

হরর থ্রিলার গল্প: সিআইপিএ

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প রেনু খুন হওয়ার দেড় মাসের মাথায় খুনিকে ধরেছে রশিদ। খুনি এখন তার সামনে ভারী কাঠের চেয়ারে হাত-পা বাঁধা বন্দি। ‘তুমি আমার একচল্লিশ নম্বর সাবজেক্টের... স্বামী। চিনতে পেরেছি আগেই।’ খুনি বলল। রশিদের স্ত্রী রেনুকে ভয়াবহ যন্ত্রণা দিয়ে সে-ই মেরেছে। ফ্ল্যাট বাসার ভেতরের একটা রুম। ভেতরে ঝলমলে আলো। দুই লেয়ারের ভারী পর্দায় ঢাকা চারপাশ। রুমটা সাউন্ডপ্রুফ করতেই লাখ তিনেক খরচ করেছে রশিদ। অ্যাকুস্টিক প্লাস্টারবোর্ডের সঙ্গে ফোমও বসিয়েছে। তবে খুনি লোকটা একবারও চেঁচামেচি করেনি। খুনির নাম জানা নেই। নাম নিয়ে রশিদের আগ্রহ নেই। পত্রিকার দেওয়া নামটা হলো ‘সলটেড কিলার’। ভিকটিমকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো। তারপর লবণ বা এ জাতীয় কিছু মেখে দিত। মরার আগ পর্যন্ত চলতো অমানুষিক নির্যাতন। দুয়েকটা ডেডবডিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ভিনেগারের ট্রেস পাওয়া গিয়েছিল। যন্ত্রণা দেওয...
রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

Stories
ছয় জগতের ছয়জন মানুষ। আচমকা একদিন আটকা পড়েছেন একটি ঘরে। সেখানে বেজে চলেছে একটি রেকর্ডিং। বদ্ধ সেই ঘরে নেই কোনো খাবার। আছে শুধু ছয়টি পানির বোতল। ভেতরের ছয়জনকে খেলতে হবে একটি খেলা। যে খেলার ফল ঠিক করে দেবে ছয়জনের মধ্যে কারা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় গল্পকার ধ্রুব নীলএই লেখকের সমস্ত বই পাবেন এই লিংকে ধ্রুব নীলের রক্তখেলা ( রহস্য ও থ্রিলার গল্প ) পর্ব-১কাবাডি ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি। খেলার নাম কাবাডি। নিয়মটা হলো…।’‘কে!’যে চেঁচিয়ে উঠল তার ঘুম ভেঙেছিল সবার আগে। টিমটিমে একটা টিউবলাইটের আলোয় চোখ সয়ে আসার পর কোটের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে পুরোনো ঘরটার মলিন আসবাব ও ছুড়ে ফেলা জামাকাপড়ের মতো দলা পাকিয়ে থাকা বাকি দেহগুলোও তার নজরে আসে। শুনতে পায় রেডিওর অনুষ্ঠানে বিরতিতে বেজে ওঠা স্টিংগারের মতো মিউজিক। এরপর রেকর্ড করা কণ্ঠ- ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি…।’‘কে কথা বলে! বেরিয়ে আসেন।...
গল্প: গুম

গল্প: গুম

Stories
আমি ভাবছিলাম রসুনরঙের দিনগুলোর কথা। যখন রোদের আলো তেরছাভাবে এসে পড়ত মানুষের গায়ে আর রসুনের ক্ষেতে। মানুষ নিজে এ রোদ থেকে বাঁচতে চাইলেও রসুনের ক্ষেতকে থাকতে দিতে চাইত এ রোদের তলেই। এরপর রসুনগুলো তাদের বার্ধক্যের কাছাকাছি এলেই এনে জড়ো করা হতো পুরাতন পৃথিবীতে বেড়ে ওঠা কোনো এক ঘরে। সেই ঘরের ওপরের দিকে ছনের চালার ঠিক নিচে, আগে থেকে বেঁধে রাখা বাঁশের কাঠামোর মধ্যে গিট্টু দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। আর একটা বালক পথ ভুলে সেই পুরাতন পৃথিবীর ঘরটাতে গিয়ে তাকাত ঝুলন্ত রসুনগুলোর দিকে। রসুনের ঝাঁজ নাকে প্রবেশ করতেই তার মনে হয়েছিল, একদিন সে এই গন্ধের কথা বলবে সবাইকে। ঠিক এ সময় আমার পাশের খালি সিটটিতে আমারই বয়সী একটা লোক এসে বসলে আমি তাকাই তার দিকে। তাকে আমার পরিচিত কেউ মনে হয় না। যদিও আমরা একই শহরে যাব, শুধু আমরা না, এ বাসের সব যাত্রীই। তবুও কাউকেই আমার পরিচিত মনে হয় না। আমি প্রতিবারই বাস...
রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-২

রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-২

Stories
রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-২ রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার বইটি মধ্যবয়সী পুরুষ তৈয়ব আখন্দকে ঘিরে। জীবন সংসারের প্রতি খানিকটা উন্নাসিক কিন্তু বুদ্ধিমান এ মানুষটা পালিয়ে বেড়াতে চায়। কিন্তু আচমকা টাঙন নদী ঘেঁষা গ্রাম পদ্মলতায় এসে সে আটকা পড়ে চাঁদের আলোয় ঝুলতে থাকা একটা লাশ আর লাবনীর জালে। তৈয়ব নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। চলতে থাকে জড়িয়ে পড়া ও ছাড়িয়ে আনার মাঝে এক সমঝোতা। রোমান্টিক প্রেমের গল্প ও একই সঙ্গে থ্রিলার স্বাদের উপন্যাস ছায়া এসে পড়ে । লেখক ধ্রুব নীল কুরিয়ারে হার্ড কপি পেতে এই পেইজে অর্ডার করুন ছায়া এসে পড়ে পর্ব -১  এর লিংক ২ তৈয়বের দ্বিতীয়বার ঘুম ভাঙলো ভরদুপুরে।প্রথমবার ভাঙে ভোরের আলো ফোটার আগে। লাশের পাশের গাছতলায়। লাশটা তখনও ঝুলছিল। সারা গায়ে কাদামাটি নিয়ে ঢুলতে ঢুলতে তৈয়ব আসে হাউসের কাছে। রাতে বৃষ্টির পানিতে ভরে চুপচুপে ওটা। তাতেই দিল ঝা...
রহস্য ধাঁধা : পরিচয়

রহস্য ধাঁধা : পরিচয়

Stories
থ্রিলার রহস্যজট : পরিচয় লিখেছেন ধ্রুব নীল দেয়ালে স্ট্যাচুর মতো ঝুলতে থাকা পেটমোটা টিকটিকিটা দেখে যুবকের মনে হলো তার নাম আরশাদ নয়, অন্য কিছু। কিন্তু আরশাদ নামটা মাথায় আসলো কেন বুঝতে পারছে না। ভোঁতা একটা ব্যথা মাথায় ছড়িয়ে আছে। সাদা বিছানায় সে একা। বিছানাটা এত সরু যে আর কারোর থাকাও সম্ভব না। বিছানা ছেড়ে উঠে বসতে গিয়ে বুঝতে পারলো এটা হাসপাতাল। তা না হলে শরীর এত দুর্বল লাগবে কেন? মুখভর্তি দাঁড়ি। এত বড় দাঁড়ি তার কখনই থাকে না। তার মানে সে এখানে অনেকদিন ধরে, শুয়ে ছিল? নাকি ঘুমিয়ে ছিল? আজ কত তারিখ। হড়বড় করে অনেকগুলো প্রশ্ন ভিড় করলো। হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো নার্স। দুলতে থাকা জানালার কপাট লাগিয়ে দিল। যুবকের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই হাসলো। ‘আজ কত তারিখ সিস্টার?' ‘জুলাইয়ের সাত।' তারপর যেভাবে এক ঝলক বাতাসের মতো ছুটে এসেছিল, সেভাবেই আবার হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে গেল মেয়েটা। ঘণ্টাখানেক শুয়ে কাটালো।...
আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

Stories
ধ্রুব নীলের রহস্য গল্প ১ রাত সাড়ে দশটা। বছর দশেক হবে মেয়েটার বয়স। মায়াবি চোখ। কোঁকড়া চুল। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। ঘুণে ধরা টেবিলের সামনে নড়বড়ে এক চেয়ারে বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছে কারো জন্য। ছোট্ট ঘরটায় অল্প পাওয়ারের বাতির মিটিমিটি আলো তার ঘুমটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে যেন। যে করেই হোক জেগে থাকতে হবে। অপেক্ষার পালা শেষ হলো আধঘণ্টা পর। দরজা খোলার শব্দ শুনেই বোঝা যায় চুপিসারে ঢুকেছে কেউ একজন। মেয়েটা সচকিত। ড্রয়ার খুলে পেনসিল আর খাতা নিয়ে টেবিলে রাখল ঝটপট। পেনসিলের ডগাটা পরখ করে নিল। একদম তৈরি ওটা। শার্পনার আর ইরেজারও হাতের নাগালে। মেয়েটার পেছনে এসে দাঁড়াল লুঙ্গি আর পুরনো সোয়েটার পরা মধ্যবয়সী লোকটা। যে কিনা একটু আগেই ঘরে ঢুকেছে। কোনো কথা না বলে হাতের মোবাইল ফোনটা রাখল মেয়েটার সামনে। স্ক্রিনে এক যুবকের ছবি। ঘাড় বাঁকিয়ে ছবির দিকে তাকাল মেয়েটা। তাকিয়েই রইল। চোখ আর ফেরাল না। খাতার ওপর চলতে শুরু করল প...
ধ্রুব নীলের নতুন বই | রোমান্টিক থ্রিলার- ছায়া এসে পড়ে

ধ্রুব নীলের নতুন বই | রোমান্টিক থ্রিলার- ছায়া এসে পড়ে

Stories
ছায়া এসে পড়ে (রোমান্টিক-থ্রিলার) লেখক: ধ্রুব নীল প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ প্রকাশক: প্রসিদ্ধ পাবলিশার্স কুরিয়ারসহ মূল্য: ১৫০ টাকা। ঢাকার চাকরি ছেড়ে গ্রামে যায় তৈয়ব আখন্দ। মুখোমুখি হয় একটি লাশ ও লাবনীর। তারপর তার চারপাশে শুরু হয় দাবার ঘুঁটির চাল। চালে চালে আটকা পড়তে থাকে তৈয়ব। ধ্রুব নীলের নতুন বই টি অর্ডার করতে এই পেইজে ইনবক্স করুন। ...
অতিপ্রাকৃতিক থ্রিলার গল্প : দ্বিতীয়

অতিপ্রাকৃতিক থ্রিলার গল্প : দ্বিতীয়

Stories
  মনিরুল ইসলামের সঙ্গে ডা. তৈয়ব আখন্দের প্রথম সাক্ষাৎ ‘আমি একজনকে খুন করেছি। কিন্তু...(বিরতি) আবার.. না মানে.. আমি আসলে খুন করি নাই। খুন করেছে আরেকজন।’ অস্পষ্ট এই কথাটা বলার আগে ৬৪ দীনবন্ধু রোডের একতলা বাড়ির একটি কক্ষে মনোবিজ্ঞানী ডা. তৈয়ব আখন্দ ও আটত্রিশ/চল্লিশ বছর বয়সী মনিরুলের মধ্যে যা আলাপ হয়েছিল- ‘ডাক্তার সাহেব, আমি আগে আমার নিজের সম্পর্কে বলি। আসলে নিজের সম্পর্কে বলার জন্যই আপনার কাছে আসা। আমি এমএ পাস করেছি গতবছর। এখনও চাকরি বাকরি হয়নি। তবে হবে। আমার মাথার মধ্যে সারাক্ষণ আরেকজন কথা বলে।’ এটুকু বলার পর যুবকের মনে হলো এভাবে নিজের সম্পর্কে বলা হচ্ছে না। আবার নতুন করে শুরু করা যায়। খেই ধরিয়ে দিলেন ডা. তৈয়ব আখন্দ। ‘আপনার নাম? পরিবারে কে কে আছেন? সমস্যার কথা না হয় একটু পরে শুনি।’ ‘আমার নাম মনিরুল ইসলাম মনির। বয়স ধরেন চল্লিশ। পরিবারে তেমন কেউ নাই। এক বড় ভাই আর ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!