হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা
ধ্রুব নীল
ভূতের প্রসঙ্গ উঠলেই নাঈমের দাদি খ্যাটখ্যাট করে ওঠেন। খ্যাটখ্যাটের একপর্যায়ে তিনি অশালীন গালিগালাজ শুরু করেন। গ্রামে এসব গালিগালাজ কমন ব্যাপার।
নাঈমের সঙ্গে তার ভার্সিটির বান্ধবী উপমাও বেড়াতে এসেছে। উপমার সামনে দাদির অশ্লীল গালিগুলো হজম করতে হচ্ছে নাঈমকে।
‘যা যা। ভূত আমার ইয়ে করবে।’ তারপর ভূত আর কী কী করতে পারবে না সেটার একটা ফিরিস্তি দিলেন দাদি।
‘দাদি, উপমা এসেছে ঢাকা থেকে। ওর কথাই বলেছিলাম। ও এসেছে আমাদের বাড়ির ভূত দেখতে।’
দাদি একটা কিছু বলতে গিয়ে আটকে গেলেন। উপমা চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন গোটা গোটা চাহনির সামনে গালিটালি মুখ দিয়ে আসে না। হামানদিস্তায় পান ছেঁচতে লাগলেন দাদি। চোখে ছানি পড়ায় কোন দিকে তাকিয়ে আছেন বোঝা গেলো না।
রাত এগারোটা। এখনকার গ্রামে এগারোটা অতো গভীর নয়। অবশ্য আজ সম্ভবত অমাবস্যা। ঘুটঘুটে অন্ধকার বলে যে একটা বিষয় আছে সেটা মনে হয় এই প্র...