Monday, December 23
Shadow

Tag: সায়েন্স ফিকশন গল্প

সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

Stories
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড আজকের দিনটা অবশ্যই অন্যরকম। এবং তা কেবল মার্টিনের জন্য। অস্ট্রিক এখনো ব্যাপারটা টের পায়নি। পেলে একগাদা বিশেষণ দিয়ে দিনটাই মাটি করে দিতো। অবশ্য তা অস্ট্রিক চাইলেও হবে না। দিনটা এতোটাই বিশেষ যে তা মাটি হওয়া সম্ভব নয়। মার্টিন নিজেকে স্বাভাবিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও হাতে আঁকড়ে রাখা সেন্ট্রিনোটা বারবার কেঁপে উঠছে। ওই যন্ত্রটাই তাকে সুখবরটা দিয়েছিল। আসলে মার্টিনের হাতটাই কাঁপছে। সে আজ একটি বিশেষ পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। ‘শুভ সকাল মার্টিন। সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজ এক সেগেটা, তিনশ জুলন বর্ষ। আজ তুমি তিন হাজার পাঁচ-এ পা দিয়েছ। হ্যাপি বার্থ ডে।’ অস্ট্রিকের কোলে চেপে বসতেই মৃদু ঝাঁকি খেলো মার্টিন। অন্যদিনের চেয়ে বেশি। তবে গাড়িটার ফোটোনিক ক্যাবল মেরামতের প্রয়োজন আজ অনুভব করলো না। কেননা, আজকের পর থেকে অস্ট্রিককে তার প্রয়োজন হবে না। অস্ট্...
ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

Stories
  বর্ষা খুব বেশি হলে তাকে ঘোর বর্ষা বলে। এর কারণ, অধিক বর্ষায় এক ধরনের ঘোর লাগে। তবে সত্য কথাটা হলো এই ঘোর সবার লাগে না। আমার লাগার কথা ছিল কিনা জানি না, তবে ১৯৯০ সালের ওই ঘটনায় আমি একবার ভীষণ এক বর্ষা-ঘোরে পড়ে গিয়েছিলাম। মাসটা ছিল আষাঢ়। দুলার হাটে আমি আগে কখনো যাইনি। আমার এক বন্ধু আরিফের বাড়ি ওই গ্রামে। আরিফ আমাদের এলাকায় থাকতো তার বাবার চাকরির কারণে। ছুটি পেলে বাড়ি যেত। দুর্গম পাহাড়-পর্বত বা সমুদ্র নয়, অচেনা ছিমছাম গ্রামই আমাকে বেশি টানতো। তাই নতুন গ্রাম দেখার লোভে আরিফের সঙ্গে যেতে একবার রাজি হয়ে যাই। বাড়িতে ম্যানেজ করতে কষ্ট হলেও আমার জেদের কাছে হার মানে সবাই। যে সময়ের কথা বলছি, তখন মোবাইল-টেলিফোন ছিল না। ছিল শুধু ফিল্মের ক্যামেরা। আমি তখন কলেজে। আমার একটা ক্যামেরা ছিল। ওটা ছিল যাবতীয় অ্যাডভেঞ্চারের একমাত্র সঙ্গী। পকেটে অবশ্য একটা নোটবুক আর কলম রাখার বাতিকও ছিল। দুলার হাটের ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত   ১ ‘ওই যে দেখতাসো। সামনের দাঁত নাইওয়ালা লোকটা। খবরদার ওর সামনে যাইবা না!’ ‘টেকো মাথা? চা খাচ্ছেন যিনি কপাল কুঁচকে?’ ‘হ। ও কিন্তুক মানুষ না, ওইটা একটা ভূত। দিশাভূত।’ ‘দিশা ভূত কী জিনিস? দিয়া ভূত টাইপের?’ ‘ওই একই কথা। দিয়া ভূতের বাপ! যারে ধরে সে দিশহারা হয়। পুরা ভ্যাবলা হইয়া ঘুরতে থাকে। আমারে অবশ্য এহনও ধরে নাই।’ এসেছিলাম মটুয়া গ্রামে বেড়াতে। বিকেলটা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এদিক ওদিক। গ্রামটা বেশ মায়াময়। যেতে ইচ্ছে করে না। আমার স্কুল বন্ধুদের অনেকের বাড়ি এখানে। চাকরিজীবনে ঢোকার পর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তবে অনেক দিন পর ইদ্রিস কাকার দেখা পেলাম। তিনিই আমাকে সতর্ক করলেন লোকটার ব্যাপারে। আগাগোড়া যাকে মানুষই মনে হচ্ছে। তবে অদ্ভুত একটা ব্যাপার তো আছেই। চোখে ঠিকমতো ধরা পড়ছে না এখনও। স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে লোকটাকে ভাল করে দেখলাম। চোখে ক...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

Stories, Stories for Kids
ধ্রুব নীল ১ ঘটনার কিছুটা কানে আসার পর জারা গোঁ ধরে, দাদির বাড়ি যেতেই হবে। কনকনে পৌষের শীতে জমজমাট রহস্য পেয়েছে। পরীবিবির বাড়িতে কদিন ধরে ভূতের উপদ্রব। পরীবিবি হলেন জারার দাদি। বয়স সত্তরের মতো। নামের মতো বাড়িটাও রাজকীয়। জমিদারবাড়ির মতো খিলান, কুয়ো সবই আছে। পেছনে জঙ্গলের মতো। বাঁশঝাড়ের ফাঁকে একে অন্যের লেজ কামড়ে হেঁটে বেড়ায় শিয়ালের দল। বাড়িতে যারা থাকে তারা সরাসরি ভূত না দেখলেও ভৌতিক কাণ্ড ঘটতে দেখেছে। আর সেটাকে স্বাভাবিক বলে মেনেও নিয়েছে। ‘ভূত থাকবে না কেন? আমরা তো আছি, ভূত থাকলে দোষ কোথায়!’ জারার বাবার ভূত বাবদ আগ্রহ নেই। তিনি আমুদে লোক। জারা ইনিয়ে বিনিয়ে দাদির কাছ থেকে ভূতের গল্পের আদিঅন্ত আদায় করে নিচ্ছে। ‘দোলনাটা আনছিল আমার আব্বা। আব্বার নাম জমিরুদ্দিন বাদশা। ১৩৫০ সনের কথা মনে হয়। ঠিক মনে নাই।’ ‘কী বলো! এত আগে...।’ ‘ওটা বাংলা সাল জারা।’ শুধরে দিয়ে গেলেন জারার বাবা। তিনি নি...

Please disable your adblocker or whitelist this site!