আল কুরআনের ভাষা ও পার্শিয়ান গোলকধাঁধা
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ওফাতের প্রায় চার প্রজন্ম পরে ইংরেজি অষ্টম থেকে নবম শতকে আল-কুরআনের প্রথম ফারসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। অনুবাদের ক্ষেত্রে কুরআনের ভাষাকে প্রচলিত আদর্শ আরবি থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করা হয়। আমাদেরকে বুঝানো হয় কোরআনের ভাষা আরবি হলেও এটা আলাদা। প্রচলিত আরবি ভাষা থেকে এটি ভিন্ন। মূলত পার্শিয়ান স্কলাররা আরবি ভাষার সাথে প্রায় সমুচ্চারিত ফারসি ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে এই কাজটি করতে সক্ষম হয়। যার মাধ্যমে আল কোরআনের প্রকৃত বার্তাকে তাদের ধর্ম মতে বিকৃত করা হয়। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন, বর্তমানে আল কোরআনের যে অর্থ প্রচলিত আছে তা আরবদের প্রচলিত আরবি ভাষা থেকে ভিন্ন। আরবদের দৈনন্দিন জীবনে কোরআনের যে শব্দগুলো ব্যবহার করে তা কুরআনের অর্থ হতে আলাদা। যেমন আমরা কোরানিক শব্দ জান্নাত অর্থ বাগান বুঝলেও আরবরা বুঝে কবরস্থান (যেখান থেকে নতুন জীবন তথা পরবর্তী জীবন শুরু হয়), উদাহরণ: জান্নাতুল বাকি। ...