ভারতের কেরালার রেনজিথ সোমরাজন। কাজের জন্য ২০০৮ সালে যান দুবাইয়ে। কখনো ট্যাক্সি চালাতেন, কখনো কোম্পানিতে সামান্য বেতনে কাজ করতেন। অবশেষে তাঁর কপাল খুলেছে। গত শনিবার একটি লটারি পেয়েছেন। এই লটারির মূল্য ২ কোটি আমিরাতি দিরহাম, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি রুপি।
গতকাল বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লটারি পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস সোমরাজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিন বছর ধরে তিনি লটারি কিনে আসছিলেন।
কখনো কল্পনাতেই আনতে পারেননি যে একদিন বিশাল মূল্যের এই লটারি তিনি জিতবেন। ৩৭ বছর বয়সী সোমরাজন বলেছেন, ‘প্রথম নয়, দ্বিতীয় বা তৃতীয় (পুরস্কার) পেলেই তিনি খুশি হতেন।’ তিনি লটারির প্রথম পুরস্কারই জিতেছেন। লটারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারমূল্য হচ্ছে যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ১০ লাখ দিরহাম।
শনিবার যখন লটারির নম্বর ঘোষণা করা হয়, তখন দুবাইয়ের হাতা থেকে স্ত্রী সঞ্জীবনী পেরেরা ও ছেলে নিরঞ্জনকে নিয়ে একটি সবজির বাজারে যাচ্ছিলেন সোমরাজন। যখন তাঁরা একটি ট্রাফিক সিগন্যালে থামেন, তখন লটারির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের নম্বর ঘোষণা করা হয়। সোমরাজন বলেন, ‘সবজির বাজারে যাওয়ার পথে একটি মসজিদ দেখে মনে মনে বলতে থাকি, এবারও লটারি পেলাম না। কিন্তু গাড়ি চালিয়ে যখন সবজির বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন মনের মধ্যে কেমন যেন একটি অনুভূত সৃষ্টি হলো। আমরা আবারও মসজিদের দিকে ফিরে গেলাম। বিশ্বাস করুন আর না করুন, তখনই টিকিটের নম্বরটি ঘোষণা করা হলো। আমার আট বছরের ছেলে ওই ঘোষণার লাইভ দেখছিল। টিকিটের নম্বরটি ঘোষণার পরপরই সে উল্লাসে ফেটে পড়ে।’
সোমরাজন বলেন, ‘আমি কখনোই আশা হারাইনি। একদিন শুভদিন আসবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। অবশেষে সেই দিনের সন্ধান পেলাম।’