উপমহাদেশে ক্রিকেট যেমন জনপ্রিয় খেলা, তেমনই ক্রিকেটাররা তুমুল জনপ্রিয়। মহাতারকারা তো জনতার মনে দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত। সুতরাং ক্রিকেটার হিসেবে রাজনীতি তে আসা এবং জিতে যাওয়া অনেকটাই সহজ ব্যাপার। ভারতের আজহারউদ্দিন, সিধু, মনসুর আলী খান পতৌদি; শ্রীলঙ্কার রানাতুঙ্গা-জয়াসুরিয়াদের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটেও লেগেছে রাজনীতির হাওয়া। রবিবার থেকে শুরু হতে চলা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট ছাপিয়ে এখন আলোচনায় দুই অধিনায়কের রাজনীতিতে প্রবেশ।
বছরখানেক ধরেই গুঞ্জন ছিল, জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতিতে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে সাবেক বিসিবি সভাপতি এবং পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামালের একটি বক্তব্যের পর আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। এরপর আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শেষ পর্যন্ত আজ শনিবার আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার মনোনয়নপত্র কিনবেন মাশরাফি-সাকিব।
এই দুজনের আগে বাংলাদেশের আরও একজন অধিনায়ক রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি টাইগারদের অভিষেক টেস্টের অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পর তিনি অনেকদিন দেশের ক্রীড়াঙ্গণে সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ২০১৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করেন তিনি।
তবে, ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার আগেই রাজনীতিতে এসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মাশরাফি-সাকিব। ক্রিকেট মাঠে সফল এই দুই অধিনায়ক এখন রাজনীতির মাঠে কেমন করেন, সেটাই দেখার বিষয়।