class="post-template-default single single-post postid-23436 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

হা-হা রিঅ্যাক্ট দিলেই ব্লক করবেন পুতুল

পুতুলফেসবুক পোস্টে কেউ ‘হা-হা’ রিঅ্যাক্ট দিলেই তাঁকে ব্লক করবেন সংগীত শিল্পী পুতুল । কারণ ‘হা-হা’ দিয়ে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো অভিব্যক্তি প্রকাশ করা যায়। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে যাঁরা ‘হা হা’ দেন, তাঁদের মানসিক বিকারগ্রস্ত মনে করেন এই গায়িকা। এই শ্রেণির মানুষদের নিজের ত্রিসীমানায় রাখতে চান না বলেই ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতুল। এই কণ্ঠশিল্পী মনে করেন, নারীর প্রতি প্রতিহিংসা থেকেই ফেসবুক পোস্টে হা-হা রিঅ্যাক্ট বাড়ছে।

দেশের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সংবেদনশীলতার ও মানবিক ব্যাপারগুলো ক্রমেই কমছে বলে মনে করেন পুতুল। এ কারণে অনেকে মৃত্যু, অসুস্থতার বা করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদেও হা হা রিঅ্যাক্ট দেন। এসব দেখে বিরক্ত পুতুলের মনে হয়েছে, একটি প্রজন্ম মূল্যবোধহীন হয়ে পড়ছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান, শুধু হাস্যরসাত্মক পোস্টে হা-হা অভিব্যক্তি প্রাসঙ্গিক হলেও প্রতিহিংসা ও অবমাননার প্রতীক হিসেবেও এই অভিব্যক্তির ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলির খুব অভাব। যে কারণে একজনের দুঃখে অনেকেই অনুভূতিহীন হয়ে পড়ছে। কারও কষ্টে তারা আনন্দিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মজার বিষয় মনে করে তারা কৌতুক করছে। এই শ্রেণির মানুষগুলো ফেসবুকে কারও পোস্ট দেখলেই হা-হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে অবমাননা বা অসৌজন্যমূলক আচরণ করাকে গৌরব মনে করে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুতুল বেশ সক্রিয়। তাঁর পোস্টে মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তরুণ-তরুণীরা অপ্রাসঙ্গিকভাবে হা-হা রিঅ্যাক্ট যেমন করেন, তেমনি অশালীন মন্তব্যও করেন। পুতুল জানালেন, একজন নারীকে হেনস্তা করার জন্য একশ্রেণির মানুষের কাছে এটিই সহজ হাতিয়ার। যখন একজন নারীকে তারা সরাসরি আক্রমণ করতে পারে না, তখন বেছে নেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর ওই হা-হা রিঅ্যাক্ট বাটন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়ই ফেসবুকে বিভিন্ন মতামত দিই। এ ছাড়া পাবলিক অনেক গ্রুপেও নিজের মতামত ব্যক্ত করি। সেখানে আমাকে অনেকে চেনে, অনেকে চেনে না। যারা চেনে না, তারা কেবল একটা মেয়ের বক্তব্য দেখেই হামলে পড়ে। তাদের কাছে নারীকে এভাবে আক্রমণ করা সহজ। তারা নারীর মতামতকে তুচ্ছ মনে করে। অনেকে না বুঝেই অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে।’

ফেসবুক বন্ধু ও অনুসারীদের তিনি মনে করেন একটি পরিবার। সেই পরিবার থেকেও প্রতিদিন তিনি ছেঁটে ফেলছেন হা-হা রিঅ্যাক্ট দেওয়া ব্যক্তিদের। তিনি বলেন, ‘আমার অনেক অনুরাগী-অনুসারীর দরকার নেই। আমার মতো যারা সুস্থ ভাবনার মানুষ, যারা রুচিশীল তারাই আমার ফেসবুক পরিবারে যুক্ত থাকুক। উদ্ভট মানসিকতার পুরুষ বা নারী কাউকে আমি চাই না। তেমন কাউকে চোখে পড়ামাত্র ব্লক করব।’

বর্তমানে বেশ কিছু নতুন গান নিয়ে ব্যস্ত পুতুল। মঞ্চে পরিবেশনার সুযোগ না থাকায় স্টুডিওতেই বেশি সময় কাটছেন তিনি। ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তার নতুন একটি বই। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। বইমেলাকে সামনে রেখে নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন পুতুল। তিনি বলেন, ‘আমি মৌসুমি লেখক নই বা লেখালেখি আমার শখ সেটাও নয়। অনেক আগে থেকেই আমি সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত। সেই ভালোবাসা থেকেই প্রস্তুতি নিয়েই প্রতিদিন লিখতে বসি।’ গত বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে পুতুলের উপন্যাস ‘জোছনা রাতে বনে যেভাবে আমাদের যাওয়া হয়ে উঠে না’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!