সব কাজেই বাধা বিপত্তি থাকবে। প্রতিযোগীতার বাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখার জন্য আমাদের পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও কিছু যোগ্যতা থাকা এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে গেছে। তবে কিছু দক্ষতা যদি অর্জন করা যায় বা নিজে যদি একটু পালটে কাজের সাথে খাপ খাওয়ানো যায় তবে সেই কাজ থেকে সফলতার প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। কারন বর্তমান সময়ে পেশাগত ক্ষেত্রে মানুষের মুল্যায়ন তার গুণাবলীর উপর ভিত্তি করেই হয়। চট করে কিছু বলে বিষয় দেখে নেয়া যাক যা কর্মক্ষেত্রে বন্ধুর মত সহযোগীতা করবে।
লিখেছেন তানিন রহমান
- উদ্যমী হতে হবে। উদ্যোগ নিয়ে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। যে কাজটা আমি আগে করে ফেলতে পারি তা করে ফেলতে হবে।
- নিজেই নিজের মূল্যায়ন করতে হবে। ভুল হলে তা স্বীকার করার সৎ সাহস থাকতে হবে। নিজের কাজের মান যাচাই করতে হবে। এতে কাজের গুনগত মান উন্নত হয়।
- শেখার মনমানসিকতা থাকতে হবে। যে ভুল থেকে শিক্ষা নেয় সে তার কর্মক্ষেত্রে কোনদিন ব্যর্থ হবে না।
- কোন কাজ করলে এর ফলাফল কি হবে তার পূর্বানুমান করার দক্ষতা তৈরী করতে হবে। এরফলে কাজের ফল লাভে সুযোগ তৈরী হয়।
- যো্গাযোগের দক্ষতা থাকা জরুরি। এই ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি আচরণেও শালীন হতে হবে।
- লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার মনমানসিকতা তৈরি করতে হবে। কাজ শুরু করে অসমাপ্ত রাখা মানেই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা।
- কাজের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করা। মুখ দিয়ে নিজেকে জাহির না করা।
- কর্মস্থলে সকলের বিশ্বাস অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে নিজের সততা প্রকাশ করতে হবে।
- সমস্যার মুখোমুখি হয়ে সমস্যা সমাধানের পথ বের করার মনমানসিকতা থাকাটা পেশাগত সফলতার আরেকটি বিশেষ দক্ষতা।
- কাজের ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং এটাই সহকর্মীদের সাথে বন্ধুভাবাপন্ন একটা পরিবেশ তৈরীতে সহায়তা করে।