কবুতর পালকরা সচারচর যে সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন তা হচ্ছে কবুতরের চোখের রোগ । কবুতরের চোখে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে এবং তা চিকিৎসায় ঠিক ও করা সম্ভব।
লিখেছেন সায়মা তাসনিম
চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের চোখের রোগ কী ধরনের হতে পারে, কী কারণে হতে পারে এবং কবুতরের চোখের রোগ হলে কী চিকিৎসা করাবেন।
অরনিথোসিস – কবুতরের চোখের রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমন হচ্ছে অরনিথোসিস। ক্লামিডিয়া নামক একটি মাইক্রোঅর্গানিজম দ্বারা কবুতরের চোখে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে কবুতরের চোখে পানি জমতে দেখা যায়। এই পানি অনেকসময় আঠালো ও হতে পারে। এই রোগটি ছোয়াচে ধরনের তাই এক কবুতর থেকে অন্য কবুতরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অরনিথোসিস এর চিকিৎসা –
- কবুতরের চোখের এ রোগ নিরাময়ে কবুতরের খাবার পানির সাথে অরিওমাইসিন নামক একটি পাউডার মিশিয়ে দিতে পারেন।
- হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে খুবই আলতো বে কবুতরের চোখ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
- টেট্রাসাইক্লিন নামক একটি চোখের মলম আক্রান্ত কবুতরের চোখে ব্যবহার করতে পারেন।
- ৪-৫ দিন তিন বেলা করে আক্রান্ত কবুতরের চোখে গ্যাটিসন ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এটি বেশ কার্যকরী চিকিৎসা।
যেসব কারণে কবুতরের চোখের রোগ অরনিথোসিস হতে পারে
- খামারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক কবুতর রাখা।
- খামার অপরিষ্কার রাখা।
- কবুতরের ঠান্ডা লেগেও এ রোগ হতে পারে।
- কবুতর পরষ্পরের সাথে লড়াই করলেও এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়।
কবুতরের চোখের রোগ প্রতিরোধ
- খামার সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। খাঁচার ট্রে পরিষ্কার রাখতে হবে।
- কবুতরকে আর্দ্র স্থানে রাখা যাবে না এতে করে ঠান্ডা লাগতে পারে।
- একটি কবুতরের অরনিথোসিস রোগ দেখা গেলে সাথে সাথে কবুতরটিকে অন্য কবুতর থেকে আলাদা করে দিতে হবে যতদিন না কবুতরের চোখের রোগ সেরে যায়।
- খাঁমার ও খাঁচা পোকামাকড় থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
- খামারে যেন কবুতররা লড়াই না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।