class="post-template-default single single-post postid-22963 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কভিডকালে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণই বড় চ্যালেঞ্জ

কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এটাই এ সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘কভিড প্রেক্ষাপটে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি), বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট দুই লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতি লাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং প্রতি লাখে ২৪ জন মৃত্যুবরণ করে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশের মধ্যে যক্ষ্মা রোগী সর্বাধিক, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে আশাব্যঞ্জক হচ্ছে, যদি যক্ষ্মা রোগী নিয়মিত ও নির্দিষ্ট মেয়াদে ওষুধ সেবন করে তাহলে সব ধরনের যক্ষ্মা রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত। বৈঠকে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. রুপালি শিশির বানু

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, এনটিপি বাংলাদেশ অন গ্লোবাল ফান্ড অ্যান্ড এমডিআর টিবি’র অ্যাডভাইজার ডা. মো. আবদুল হামিদ সেলিম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাকিল আহমেদ প্রমুখ।

অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তকরণে জিন এক্সপার্ট মেশিনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তৃণমূল পর্যায়ে এ-সংক্রান্ত সেবা আরও জোরদার হবে। অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মা শনাক্তরণই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। শনাক্তকরণের হার বাড়লেই আমাদেও এখন যক্ষ্মায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ৯৬ শতাংশ সাফল্য এসেছে, তা অব্যাহত রাখা যাবে। আর তা সম্ভব হয়েছে রোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে অংশীদারিত্বেও ভিত্তিতে।

ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, কভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটা বেশ আশাব্যঞ্জক। তবে এ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানো।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, যক্ষ্মা বিষয়ে অনুসন্ধানী ও ইতিবাচক প্রতিবেদন করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!